আজমিরীগঞ্জে বিভিন্ন গ্রামে বনজুঁই ফুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

রামকৃষ্ণ তালুকদার।।

হাওর অঞ্চল বেষ্টিত ভাটি বাংলার রাজধানী খ্যাত আজমিরীগঞ্জ। গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এটিকে বনজুঁই বা ভাটি ফুল বলে। কেউ কেউ বনজুঁই’ ভাটফুল, ঘেটুফুল বা ঘণ্টাকর্ণ নামেও বলে থাকেন। গ্রামাঞ্চলে মাঠে-ঘাটে, পথে প্রান্তরে প্রায়ই দেখা যায় থোকায় থোকায় ফুটে এসব ফুল। ফুলগুলো সহজেই নজর কেড়ে নিচ্ছে। ফুল দিনে ফোটে এবং রাতে সৌরভ ছড়ায়। এটি বনজ ফুল হলেও সৌন্দর্যের কমতি নেই। এ ফুলের মনমাতানো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে যে কেউ। এর মিষ্টি গন্ধ মাতাল করে তোলে ফুলপ্রেমীদের মন। দেখে মনেই হবে না এটি অবহেলিত কোনো ফুল। অনেকের কাছে ‘ দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আনাচে কানাচে সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে নজর কাড়ছে ফুলটি। বনজুঁইয়ের বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্লেরোডেন-ড্রাম-ইনারমি’। ইনফরচুনাটাম প্রজাতির ফুল এটি। প্রায় ৪০০ প্রজাতির বনজুঁই পাওয়া যায় যাদের আদিনিবাস এশিয়া মহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলংকায়। এটি গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। গাছের প্রধান কাণ্ড খাড়া, সাধারণত ২-৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা কিছুটা পানপাতার আকৃতির ও খসখসে। পাতা ৪-৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। ডালের শীর্ষে পুষ্পদণ্ডে ফুল ফোটে। পাপড়ি সাদা, তাতে বেগুনি মিশেল থাকে। বনজুঁই সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও নানা গুণে গুণান্বিত। ম্যালেরিয়া, চর্মরোগ ও পোকা-মাকড়ের কামড়ে খুবই উপকারী। এছাড়া এর মনমুগ্ধকর সৌরভে প্রজাপতি, মৌমাছি, পিঁপড়াসহ নানা প্রজাতির কীট-পতঙ্গের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। এরা ফুলের সুগন্ধ, সৌরভে ব্যাকুল হওয়া ছাড়াও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। ‘ঋতুরাজ বসন্তে দেখা যায় এ ফুল। এখানে-সেখানে নিজের সুন্দর রূপ ছড়িয়ে থাকে বনজুঁই (ভাটফুল, ভাটিফুল) ফুল। ফুলটি বাংলাদেশের আদি ফুল। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ফুলের দেখা মেলে। নানা গুণে গুণান্বিত এ উদ্ভিদ’। গ্রামের গৃহিণী আরতি রানী দাস জানান, গ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এটি বনজুঁই বা ভাটি ফুল বলে। এটি মূলত বসন্তকালে ফুঁটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়েতে ব্যবহার করা হয়। কন্যা যখন কুঞ্জতে বিয়ে করার জন্য সাতপাক দেন তথন এ ফুলটি প্রয়োজন হয়।