এস.এম. মাহবুবুল ইসলাম লিটন।।

পুঠিয়ায় জনবিচ্ছিন্ন চাঁদাবাজ, দখলদার, ধর্ষক মামুনের উদ্যোগে “জিয়া পরিষদ” এর ব্যানারে আহ্বায়ক নাজমুল হোসাইন মুক্তার মাধ্যমে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতের আগমনের খবরে পুঠিয়া বি,এন,পি’র সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক সহ সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।   গোপন সুত্রে জানাগেছে, পুঠিয়ার পৌরসভার সাবেক মেয়র ৫ই আগষ্ট ২০২৪ তারিখের পরে তার সন্ত্রাসী বাহীনী দিয়ে পুঠিয়া উপজেলায় নৈরাজ্য, দখলদারি, চাঁদাবাজীসহ ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সিন্ডিকেট তেরী করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিএনপিতে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের অনুপ্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নিষেধ ঘোষণা করেছেন। তার অপকর্মের কারনে, বেশ কিছুদিন থেকে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায়, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ও সাধারণ জনগন অপকর্মের হোতা মামুনকে মানুষিকভাবে ও সাংগাঠনিকভাবে বয়কট করেছে। এরই মধ্যে মামুনের বিভিন্ন অপকর্মের কারনে তার বিরুদ্ধে ডকুমেন্টারী সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে, তা বিএনপির হাই কমান্ড ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসে।  “অপারেশন ডেভিল হান্টার” চলমান কালে পুঠিয়ার চাঁদাবাজ, দখলদার ও সন্ত্রাসী  বাহিনীকে ধরার জন্য যৌথবাহিনীর অপারেশন চলমান থাকলে, মামুন ও তার বাহিনী গা’ঢাকা দেয়। ফলশ্রুতিতে, গত ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ এ শহীদ মিনারে মামুনের সচারাচর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। চাঁদাবাজী, জমি দখল, অবৈধ পুকুর খনন, টেন্ডারবাজী সহ আওয়ামীলীগের আঁতুর ঘরের মালিক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায়, মামুন বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারায়, জন বিচ্ছিন্ন নেতা হিসেবে বর্তমানে এলাকায় পরিচিত।  অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাংগাঠনিক নিয়ম-নীতি বহির্ভূত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায়, ধুরন্ধর মামুন তার বিভিন্ন অপকর্মের ভয়াভয়তা টের পেয়ে, মামুনের বিশ্বস্ত সহচর পুঠিয়া উপজেলা জিয়া পরিষদের আহবায়ক মুক্তাকে দিয়ে জিয়া পরিষদের ব্যানারে একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে এবং প্রধান অতিথি হিসেবে রাখেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকতকে।  শাহীন শওকতের মতো কেন্দ্রীয় নেতা পুঠিয়াতে আগমনের বিষয়ে, বিএনপির পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারমান, সাবেক মেয়র, পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, সদস্য সচিব, পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কৃষকদলের আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক, সদস্য সচিব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পুঠিয়া আসতেছেন এটা আমরা লোক মুখে শুনেছি, মামুন সংগঠন বিরোধী বিভিন্ন অপকর্ম করার ফলে এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বিএনপির নেতাকর্মীরা লান্ছিত হওয়ায়, পুঠিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অংগসংগঠনের নেতা কর্মীগণ, আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি বনে যাওয়া মামুনকে বয়কট করেছেন। মামুন তার অপকর্ম হতে বাঁচার জন্য বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে হইতো কৌশলে ভুলবুঝিয়ে এই আয়োজনে প্রধান অতিথি করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর বিএনপি নেতা বলেন, পুঠিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি কমিটিসহ অঙ্গ সংগঠনের সাংগঠনিক নেতারা জানেনা কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন শওকতের আগমন বিষয়ে। এটা মামুনের ব্যাক্তিগত প্রোগ্রাম, দলীয় প্রোগ্রাম নয়। মামুন তার অপকর্মের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্যই জিয়া পরিষদ এর ব্যানারে এই আয়োজন করছে। যা হইতো বিভাগীয় সাংগঠনিক  সম্পাদক শাহীন শওকত জানেন না।