নিকলীতে খরতাপে দ্রুত নামছে ভূগর্ভস্থ স্তর, পানির জন্য হাহাকার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫ রাখী গোপাল দেবনাথ।। আড়িয়াল খাঁ,সোয়াইজনী,ধনুসহ কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার অনেক নদীগুলো পানিশূণ্য মৃতপ্রায়।নদীতে স্বাভাবিকভাবে খাল-বিল শুকিয়ে গেছে আগেই, শুকিয়ে যাওয়া নদীর বুকে চাষ হচ্ছে ধান-গম-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল। নিকলী এলাকায় ক্রমশ নিচে নামছে পানি।প্রতি বছর চৈত্র্যের খরতাপ শুরুর আগেই পানির সংকট শুরু হতে থাকে।তার উপর শতবর্ষী পুকুরগুলো হয়েছে ভরাট। এবার তীব্র খরা পরিস্থিতিতে ফাল্গুন মাসেই পানির স্তর প্রায় ৩৫ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। প্রতি বছর চৈত্র্যের খরতাপ শুরুর আগেই পানির সংকট শুরু হতে থাকে। এবার তীব্র খরা পরিস্থিতিতে ফাল্গুন মাসেই পানির স্তর প্রায় ৩৫ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। নিকলী উপজেলার পাশাপাশি পাশের উপজেলা কটিয়াদির করগাঁও,মামুদপুর ও করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর,গুজাদিয়া সহ বিভিন্ন এলাকাগুলোতে পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বুরহান উদ্দিন আহমেদ বলেন অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনকেই পানি সংকটের অন্যতম কারণ । অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে উপজেলার উঁচু অধিকাংশ এলাকায় দিন দিন খাবার ও সেচের পানির সংকট প্রকটতর হচ্ছে। এসব এলাকায় হস্তচালিত নলকূপ দূরের কথা, গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না ঠিকমতো। নিকলী মীরহাটি নিবাসী জুয়েল মিয়া বলেন পানি ভালোভাবে না ওঠার কারনে সেচ কাজ ও ভালোভাবে করতে পারছি না। কৃষি জমিতেও পাটল ধরেছে। সিরিয়াল দিয়েও সেচের পানি পাচ্ছি না। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নিকলী উপজেলা শাখার আহবায়ক খাইরুল মোমেন স্বপন বলেন পুকুর বা জলশায়গুলো ভরাটের কারনে পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে। জলাশায়গুলো যেন ভরাট না হয় উপজেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। নিকলী ষাইটধার নিবাসী বেসরকারি চাকুরিজীবী খাইরুল ইসলাম বলেন , এলাকার সাবমার্সেবল টিউবেল ব্যতীত সাধারন টিউবওয়েলে পানি উঠছে না।ফলে আমরা খুবই কষ্ট করছি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: