নাটোরে আগুনে পুড়লো খামার ও ভ্যান চালকের বাড়ি, আহত ১

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৫

সাধীন আলম হোসেন।।

নাটোরের লালপুরে পৃথক দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি হাঁসের খামার ও এক ভ্যান চালকের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আগুনের অগ্নি শিখায় সব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন ঐ হাঁস খামারি ও ভ্যান চালক। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া (কয়লার ডহর) গ্রামের ফজরের ছেলে সুজন আলীর হাঁসেরখামারে আগুন লাগে। এ বিষয়ে হাঁস খামারি সুজন আলী বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকে আমার খামারে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভাতে পারলেও তার আগেই খামারঘর ও হাঁস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার সকল মূলধন বিনিয়োগ করে আড়াই লাখ টাকায় ৪৩০ টি হাঁস নিয়ে শুরু করেছিলাম খামার। আর তিনদিন পরেই হাঁসগুলো বিক্রি করে ঋণ দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সব হারিয়ে আজ আমি নি:স্ব হয়ে গেলাম। এদিকে গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল গ্রামের ছোরাপ মন্ডলের ছেলে ভ্যান চালক মাজদুল ইসলামের (৪৮) বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আহাজারি করে মাজদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী রমজিতের বাড়িতে দাওয়াত পেয়ে ইফতারে গিয়েছিলাম। এসময় গরুর ঘরে দেয়া কয়েলের আগুন থেকে পুরো বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এতে ৩টি বসত ঘরসহ তিনটি ছাগল ও মুরগি পুড়ে গেছে। আগুন দেখে গোয়াল ঘরে বাঁধা গরুটি ছিটকে পালিয়ে গেলেও এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘরের আসবাব ও দলিলপত্র, আইডি কার্ড, নগদ টাকা-পয়সা কোন কিছুই বের করতে পারিনি। এছাড়া আমার উপার্জনের একমাত্র ভ্যান গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় কিভাবে চলবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এ ঘটনায় আগুন নিভাতে আসা প্রতিবেশী রনি আহমেদ (২৮) নামে একজন আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভ্যান চালকের বাড়িতে শুকনো খাবার ও আবেদনের প্রেক্ষিতে পুড়ে যাওয়া ঘর নির্মাণে ঢেউটিন প্রদান করা হবে।