ঈশ্বরগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-কাটা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫ রবিন ঈশ্বরগঞ্জ।। ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের শপিংমল ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, সেখানে রয়েছ ক্রেতাদের উপচে পড়া। রমজানের শুরু থেকেই আনাগোনা বেড়েছে ঈদের বাজারে।ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে দেশি-বিদেশি নানা ধরণের পোশাক নিয়ে এসেছে দোকানগুলো। ভিড় এড়িয়ে পছন্দের পোশাক কিনতে অনেক ক্রেতাই আগে ভাগে আসছেন। বিক্রেতা বলছেন,সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়িরা। শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে পছন্দমতো কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঈদের আগের এই দিনগুলোতেই বেশি আসেন পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, জুতা, গহনা, কসমেটিকসসহ বাচ্চাদের পোশাকের দোকানে সমান ভিড়। তবে বাচ্চাদের ও মেয়েদের পোশাকের দোকানে একটু বেশিই ভিড় দেখা যায়।সকল শ্রেণি পেশার মানুষই তাদের সাধ্যমতো পণ্য ক্রয় করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের দোকানে ভীড় লক্ষণীয়। কসমেটিক্স, কাপড় ও জুতার দোকানে ক্রেতার সমাগম বেশি। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বিক্রেতারা ততই বাহারি আইটেম দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। ঈদ নিকটে তাই মার্কেট গুলোতে শেষ মুহূর্তের বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটগুলো খোলা রাখছে। কাপড় ও জুতার দোকান গুলোতে দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পণ্যগুলোও চলছে সমানতালে। ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা রাজিব সজীব কমপ্লেক্স মার্কেট কসমেটিক্স ব্যবসায়ী ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন {বায়েজিদ} ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঈদের ক্রেতা আশা শুরু হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে ক্রেতা বাড়ছে গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতার সমাগম বেশি এবং বিক্রিও ভালো চলতাছে বলে জানিয়েছে। আব্দুল্লাহ আল মামুন বায়েজিদ। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ শহীদ রহিম স্মৃতি মার্কেট এম আর কসমেটিক্স স্বত্ত্বাধিকারি মোজাম্মেল হক রিয়ান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতার সমাগম বেশি এবং বিক্রিও ভালো চলতাছে বলে জানিয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ি আমির হোসেন বলেন, জুতার দাম গত বছরের থেকে বেড়েছে। আমরা আগে যে দামে জুতা বিক্রি করেছি, এবছর সেদামে কিনতেও পারিনি। জুতা প্রতি অনেক টাকা বেড়েছে। তারপরও ক্রেতারা আসছে, দেখছে, কিনছে। যেমন বেচা-কেনা হচ্ছে তাতে আমরা খুশি। এদিকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।আল-মদীনা গার্মেন্টস দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি সন্তোষজনক। দাম বেড়েছে এটা সত্যি। তারপরও মানুষ আসছে কিনছে। রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই ঈদের ক্রেতা আশা শুরু হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে ক্রেতা বাড়ছে। অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটায় ঈশ্বরগঞ্জ চৌরাস্তা মোড় সরকার প্লাজার মার্কেট গুলোতে ত্রি পিস, শাড়ি ও পাঞ্জাবির ক্রেতাদের ভিড়। থ্রি পিসের মধ্যে বি়ভিন্ন ধরনের ত্রি পিস বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে ভালো বিক্রি হচ্ছে জামদানি, তাঁত ও সূতি। কাপড় ও রঙ ভেদে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের খুবই কাছাকাছি সময়ে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদ বাজারে পছন্দসই পোশাক পাওয়া গেলেও তাদের অভিযোগ, আগের বছরের তুলনায় দাম এবার অনেক বেশি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: