শ্যামনগরে বিশ্ব পানি দিবসে পানির উৎস ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণের দাবী উপকূল বাসীর

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৫
মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ।।
২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস । প্রতি বছরের মতো এবারও এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে, যার মূল প্রতিপাদ্য “হিমবাহ গলছে, বিপদ বাড়ছে, পানি সবার অধিকার, রক্ষা করবো বারবার”। পানি আমাদের জীবনের অন্যতম মৌলিক উপাদান। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২.২ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। বাংলাদেশেও সুপেয় পানির সংকট একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ পানির সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আরও সচেতনতা প্রয়োজন। সরকারী ও বেসরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর সহায়তায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলীতে শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১২ টায় যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি, সবুজ সংহতি ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর আয়োজনে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের পানির অধিকার নিশ্চিতকরণে করণীয় শীর্ষক জনমতামত অনুষ্ঠিত হয়। বারসিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মন্ডলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা, র‌্যালি এবং সচেতনতামূলক এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কুলতলী কৃষক সংগঠন এর সভাপতি সুজিত সরদার। আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সবুজ সংহতি’র সদস্য সরমা রানী, সুজাতা রানী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম মুন্সিগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি গৌতম মন্ডল , স্থানীয় জনগোষ্টি ও বারসিক কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমুখ। উপকূলীয় অঞ্চলে পানির গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পানি পন্য নয় –অধিকার। আমাদের প্রত্যেকের উচিত অতিরিক্ত পানি অপচয় রোধ করা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা এবং দূষণ কমানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া।স্থানীয় প্রাকৃতিক জলাশয় খাল, দীঘি, পুকুর উন্মুক্ত রাখা এবং পুন সংস্কার করে সংরক্ষন করতে হবে। টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সচেতন হোন, পানি সংরক্ষণ করুন,পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুন।