ছেলের আবদার মেটাতে কাচ্চি ভাইয়ে দোকানে যায় মা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৪ শামীম হোসাইন রিগান,পিরোজপুর।একমাত্র ছেলের আবদার মেটাতে বৃহস্পতিবার রাতে কাচ্চি ভাইয়ে খেতে গিয়েছিলেন তানজিনা এশা। আগুন লাগলে ছয় বছরের ছেলেকে নিরাপদে বের করে দিতে পারলেও শেষ পর্যন্ত নিজে বাঁচতে পারেননি। পিরোজপুরের নড়াইলপাড়ার বাসায় শুক্রবার (১মার্চ) যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁর স্বজন ও একমাত্রন ছেলে আরহামের চিৎকারে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ছয় বছরের ছেলেকে বের করে দিয়ে আটকা পড়ে নিহত হন এশা। পিরোজপুরের নড়াইলপাড়ার বাসায় শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সব্জনদের আহাজারি আশপাশের সবাইকে কাঁদিয়েছে। বিশেষত ছেলে আরহামের চিৎকারে গোটা পরিবেশ শোকাতুর হয়ে ওঠে।শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে এশার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।তানজিনা এশা পিরোজপুর শহরের নড়াইলপাড়া এলাকার নাদিম আহমেদের স্ত্রী।পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শহীদ ওমর ফারুক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সালমা রহমানের বোনের মেয়ে তিনি। তানজিনা এশা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে আরহাম মায়ের কাছে কাচ্চি খাওয়ার বায়না করে। ছেলের আবদার রক্ষা করতে ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় ছেলে ও স্বজনদের নিয়ে খেতে যান এশা। আগুন লাগলে ছয় বছরের একমাত্র ছেলেকে বের করে দিয়ে নিজে আর বের হতে পারেননি। তার আগেই বিষ্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যান এশা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: