ডোমারে বর্ষবরণ ১৪৩২ উপলক্ষে পৃথক পৃথক আনন্দ শোভাযাত্রা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৫ আবু ছাইদ।। “এসো মিলি বাঙ্গালীর প্রানের উৎসবে” এই শ্লোগানে সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে বাঙালী জাতির ঐতিহ্য বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও ১৪ এপ্রিল বাংলা ১৪৩২ বর্ষবরণ উপলক্ষে লোক সাংস্কৃতিক উৎসব এর আয়োজন করা হয়েছে। আনন্দ শোভাযাত্রা উৎসবে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। সোমবার ১৪ই এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ ১৪৩২ উৎযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ১০টায় ডোমার বাজারস্ত শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার চত্ত্বর হইতে বর্ষবরণ ১৪৩২ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের উপস্থিতি সহ আনন্দ শোভাযাত্রার বর্ণাঢ্য র্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এরপর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর লাঠি খেলা, লোক উৎসব মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে নাট্য সমিতি মঞ্চে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সাড়ে সাতটায় লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ডোমার নাট্য সমিতি মঞ্চের আহবায়ক মাসুদ বিন আমিন সুমনের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ প্রশাসক নাজমুল আলম বিপিএএ। বিশেষ অতিথি সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (ডোমার-ডিমলা) নিয়াজ মেহেদী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী, ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ কারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী করেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ। অপরদিকে চিলাহাটি সরকারি মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ কে বরণের ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সকল ধর্ম ও বর্ণ বৈশিষ্ট্যের মানুষজনকে নিয়ে চিলাহাটি কলেজ মাঠ থেকে শহর প্রদক্ষিণ করে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা রেলি। বিগত সময়ের চেয়ে এবারের র্যালিতে ছিল ভিন্নতা ছিলনা কোন বৈষম্য, ছিলনা কোন ভেদাভেদ, গ্রাম বাংলার প্রকৃত সাজে সেজেছিল সকল বর্ণের মানুষ ছেলে-মেয়ে আবাল বনিতা বৃদ্ধ, বাংলাভাষী বাঙালির বাংলা নববর্ষ কে সাদরে বরণ করতে করেনি কেউ কোন কৃপণতা, সকলের মনে শুধু এই প্রত্যাশাই ফেলে আসা অতীতকে ভুলে গিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে চলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সুন্দর হোক আগামী শুভ হোক বর্ষবরণ। SHARES সারা বাংলা বিষয়: