সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ পালিত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

এইচ এম হক চৌহালী প্রতিনিধি।।

বাংলা নববর্ষ মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। সেই আনন্দময় দিনটিকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর এক আয়োজন। খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক উম্মে হানি মলি তালুকদার বলেন এই আয়োজনের বিশেষত্ব ছিল আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তারা গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, দলীয় পরিবেশনা ও ছোট ছোট নাট্যাংশের মাধ্যমে মঞ্চে তুলে ধরেছে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রঙিন রূপ। তাদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে করেছে আরও মনোমুগ্ধকর ও প্রাণচঞ্চল। শিশু শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজনটি যেন হয়ে ওঠে এক অভিন্ন মিলনমেলা। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন অভিভাবক ও শিক্ষকগণও এ আনন্দে সামিল হয়ে পরিবেশটিকে করেছেন আরও প্রাণবন্ত। এই দিনটি আমাদের নতুন করে মনে করিয়ে দেয়— বাংলা সংস্কৃতি কেবল ঐতিহ্য নয়, এটি আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। শুভ নববর্ষ! নতুন বছরের এই শুভক্ষণে আমরা খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন বৈশাখি মেলা ও স্টলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি একটি চমৎকার দিক, যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্বগুণ এবং দলগত কাজের অভ্যাস গঠনে সহায়ক। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বৈশাখি মেলা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল এক দারুণ অভিজ্ঞতা। মেলার প্রতিটি স্টলে ছিল তাদের নিজস্ব ভাবনা, উদ্যোগ ও সৃজনশীলতার ছাপ। সহযোদ্ধা শিক্ষক। খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প, পিঠা পুলি, জুস ও তরল পানীয়, পান্তা – ইংলিশ, বিভিন্ন প্রকার ভর্তা, আইস ক্রিম, লোভনীয় ফুসকা, চটপটি, দেশীয় খেলনা, রেশমী চুড়ি, পিঠা-পুলি, পোশাক, শাড়ি ও সাজসজ্জার উপকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্টল সাজিয়েছে অত্যন্ত রুচিশীলভাবে। তারা নিজেরাই পরিকল্পনা করেছে স্টলের নাম, ডিজাইন ও উপস্থাপন ভঙ্গি। এই মেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে—উদ্যোক্তা মানসিকতা, দলবদ্ধভাবে কাজ করার অভ্যাস, বাজার ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক সচেতনতা, যোগাযোগ দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু আনন্দ নয়, এই ধরনের মেলা শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার এক কার্যকর শিক্ষণীয় ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। অভিভাবক, শিক্ষক ও অতিথিরা এই উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন। খাজা ইউনুস আলী ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক উম্মে হানি মলি তালুকদার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি স্যারকে। আজ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যারকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে জনাব হায়দার স্যারের জন্য পাশাপাশি সবার জন্য।