গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া সাব-রেজিষ্টার অফিসে দুদকের অভিযান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

শেখ ফরিদ আহমেদ।।

অদ্য ১৬-০৪-২০২৫ খ্রি. তারিখ গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুস দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ  বিষয়ে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে  কোটালীপাড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গমন করে প্রথমে ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য নিম্নরূপ:
(১) নকল উত্তোলনে অতিরিক্ত অর্থ দাবী: অভিযান পরিচালনাকালে গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রাহকদের নিকট হতে জমির দলিলের নকল উত্তোলনের জন্য নকলনবিশগণ সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ হিসেবে দলিল প্রতি ৫০০ টাকা হতে ১০০০/- টাকা পর্যন্ত দাবী করে থাকে মর্মে জানা যায়।
মন্তব্য: উক্ত বিষয়ে নকলনবিশদের সতর্ক করার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, কোটালীপাড়াকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
(২) ৫২(খ) ধারা রশিদ বহি (টিকিট বহি)-এ অতিরিক্ত অর্থ আদায়: অভিযান পরিচালনাকালে ৫২(খ) ধারা রশিদ বহি (টিকিট বহি) পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, অদ্য ১৬-০৪-২০২৫ খ্রি. তারিখে ১০ টি ফরমের ফি বাবদ ফর্ম প্রতি ৬০০/- টাকা করে মোট ৬,০০০/- টাকা আদায়ের নিয়ম থাকলেও কোটালীপাড়া সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী জনাব আবুল খয়েরের নিকট অতিরিক্ত ৭০০/- টাকা পাওয়া যায়।
মন্তব্য: টিম কর্তৃক উক্ত অতিরিক্ত টাকার বিষয়ে আবুল খয়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেননি। যেহেতু টাকার পরিমাণ খুবই সামান্য তাই উক্ত অতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাব-রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, কোটালীপাড়াকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
(৩) দলিল রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত অর্থ দাবী: অভিযান পরিচালনাকালে দৈব চয়ন ভিত্তিতে চলতি মাসের কয়েকটি রেজিস্ট্রেশন দলিল পর্যালোচনা করা হয়। দলিল পর্যালোচনার সময় দলিল লেখক এবং ফোনে জমির দলিল দাতা ও গ্রহীতাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দলিল রেজিস্ট্রেশনের সময় সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, কোটালীপাড়ার মোহরার জনাব শিখা রাণী মন্ডল ও মোহরার জনাব মেশকাতুর রহমান কর্তৃক দলিল প্রতি দলিল লেখকদের নিকট হতে অতিরিক্ত ১,৯০০/- টাকা হতে ২,০০০/- টাকা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
মন্তব্য: উক্ত বিষয়ে মোহরার জনাব শিখা রাণী মন্ডল ও মোহরার জনাব মেশকাতুর রহমানকে সতর্ক ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাব-রেজিস্ট্রার, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, কোটালীপাড়াকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
নকল উত্তোলনে অতিরিক্ত অর্থ দাবী, ৫২(খ) ধারা রশিদ বহি (টিকিট বহি)-এ অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও দলিল রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত অর্থ দাবীসহ অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশন বরাবর  বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে মর্মে দুদকের কর্মকর্তা দৈনিক দেশ সেবা প্রতিবেদককে জানান।