জামিনে মুক্তি পেলেন আলোচিত সেই মাদরাসা কমিটির ৮ সদস্য জামিনে মুক্তি

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫

এস এম পারভেজ তালুকদার।।

গুরুদাসপুর উপজেলার সিধুলী হাটের টাকা উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মাদরাসা কিমিটির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজি মামলায় ৮জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সোমবার ২১ এপ্রিল তাদের জামিনে মুক্তি দিয়েছেন নাটোরের জজ আদালত। মামলাটি দায়ের করেছিলেন ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. রুবেল হোসেন। জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মাদরাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, হাজী মকবুল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, উপজেলা ইসলামি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, লিটন হোসেন, রিপন আলী, আলহাজ¦ বদিবর, ইউনিয়ন জামায়াতের সহ সেক্রেটারি মওদুদ আহম্মেদ মানিক। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তারা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সোমবার সন্ধায় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে তাদের বরণ করা হয়। এরপর মাদরাসা মাঠে ফুলের মালা দিয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মিথ্যা মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান। সেই সাথে প্রকৃত চাঁদাবাজদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীও জানান তারা। এসময় মাদরাসা মাঠে প্রায় ৫ শতাধীক জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য- উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সিধুলী হাটটি খন্ডকালিন হওয়ায় সরকারি পেরিফেরিভুক্ত হয়নি। একারণে কয়েক বছর ধরে হাটের ইজারার টাকা উত্তোলন করে ‘শিধুলী, চলনালী, পোয়ালশুড়া হযরত ওসমান (র.) হাফেজিয়া ও কওমি মাদরাসায়’ জমা দেওয়া হয়। মাদরাসাটিতে ৯০জন আবাসিক শিক্ষার্থীসহ প্রায় দেড়শজন শিক্ষার্থী দ্বিনি শিক্ষা গ্রহন করছে। মাসখানেক আগে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজের লোকজন শিধুলী হাটের টাকা বিএনপির সাথে ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেন মাদরাসা কমিটিকে। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়া বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির সাথে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে মাদরাসা কমিটিকে হাটের টাকা উত্তোলন না করতে পরামর্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের নেতার চাপে ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে মাদরাসা কমিটির ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন যৌথ বাহিনী। মাদাসার মহতামিম মো. ফাতিহুল কবীর বলেন, সত্যের জয় হয়েছে এবং মিথ্যার পরাজয় হয়েছে। আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করবো না। তিনি আরো বলেন, যারা মাদরাসা কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার, ভবিষ্যতে সিধুলী হাটের টাকা মাদরাসায় জমা হতে হবে এবং প্রকৃত চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।