কেন্দুয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৫ কোহিনূর আল।। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নুরেছা দুখিয়ারগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়ার বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে । মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের আঙ্গিনায় ঐ শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে এলাকার কিছু লোক জটলা পাকিয়েছে এবং বিভিন্ন শ্লোগানে উত্তেজনা বিরাজ করছে । ঠিক ঐ মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদারের সাথে কথা বলে স্কুল ছুটি দিয়ে দেন । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত (৫ মে) দিবাগত রাত রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম প্রান্তিক পরীক্ষাকে সামনে রেখে সাজেশন দেয়া ও পড়াশোনা করাচ্ছিলেন অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক । তিনি প্রত্যেক সময়ই পরীক্ষার আগে দুর্বল শিক্ষার্থীদের এমন পরামর্শ ও পড়াশোনা করিয়ে থাকেন । ঘটনার সময় সাদিয়ার (ভুক্তভোগী) ঘুম পেলে ও পড়াশোনায় অমনোযোগী হলে শিক্ষক তাকে শাসন স্বরূপ ধমক ও চর মারলে কেঁদে ওঠে । আরো জানা যায়, শিক্ষক মোঃ সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী । কথা হয় উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজল ইসলামের সাথে । তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ৩টি চাবির মধ্যে ১টি থাকতো মোঃ সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়ার কাছে । প্রকৃত ঘটনা কী আমি জানি না । সত্য উদঘাটন হোক । ঘটনার সময় উপস্থিত ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম ও লিজার সাথে কথা হলে তারা জানায়, পড়াশোনার সময় সাদিয়ার (ভুক্তভোগী) ঘুম পেলে, স্যার অন্য রুমে নিয়ে যায় । এরপর কান্নাকাটি শুনে গিয়ে দেখি সাদিয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে রেখেছে। স্যার ভালো লোক না ।সাদিয়ার (ভুক্তভোগী) মামা বলেন, মোঃ সাজ্জাদুল হক বলেন, সাদিয়ার গ্রামের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নের জুরাইল গ্রামে । কিন্তু সে দুখিয়ারগাতিতেই থাকে । ঘটনার সময় আমি বাড়ি ছিলাম । জানতে পারি, পড়ানোর নাম করে ঐ শিক্ষক সাদিয়ার উপর চড়াও হয় । প্রতিবেশী আম্বিয়া বেগম বলেন, এই চান মিয়া স্যারের চরিত্র খারাপ । ঘটনার সময় কারেন্ট ছিলো না । পাশের রুমে নিয়ে খারাপ কাজ করতে চাইছিলো । এর সুষ্ঠু বিচার চাই । অভিযুক্ত শিক্ষকের সম্পর্কে পাড়াতো ভাইস্তা বাবুল মিয়া, আপন ভাইস্তা এনায়েত করিম, প্রতিবেশী অঙ্গর চন্দ্র সিং বলেন, ঘটনার সময় ১০/১২ জন ওখানে ধান তুলছিলো এই ধরনের কোন কিছু ঘটে নি । বরং আম্বিয়ার সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়েছে । অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ সাইকুল ইসলাম ওরফে চান মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর কাইয়ুম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ৷ SHARES সারা বাংলা বিষয়: