ঝিনাইদহে পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও হেনস্থার ঘটনায় মামলা,আটক ৪ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৫ সৌভিক পোদ্দার ।। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মারপিটসহ হেনস্থার শিকার হন যশোর কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্য। ১৪ বছরের এক কিশোরিকে উদ্ধার করতে এসে তারা এ মারপিটের শিকার হন। সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় আহত হন, যশোর কোতয়ালী থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন। ঘটনার পরপরই থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনের নামে মামলা হলে ৬ মে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর আটককৃতদের কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা উপজেলার পৌরসভার বাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ১। মোকলেচুর রহমান(৫০) ২। সাগর হোসেন (২৬) ৩। মো. আল মামুন (৩২) ৪। তরিকুল ইসলাম মিন্টু(৪০)। এর আগে, বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের ভাইরার ছেলে সুজন হোসেন যশোর থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার যশোর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর যশোর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৫ মে) দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যায়। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা পুলিশের কাছ থেকে ভিকিটিম মেয়েকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌছে আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা ও আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগীতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরিকে উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই মামলা হলে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহার ভুক্ত ৪ আসামিকে আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: