কেন্দুয়া পৌরসভায় বাসা দখলকে কেন্দ্র করে আহত ৭/৮ জন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ১১, ২০২৫ কোহিনূর আলম।। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বাসা দখলকে কেন্দ্র সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৭/ ৮জন । শনিবার (১০ মে) দুপুরে কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে টেংগুরি পশ্চিম পাড়ার মোঃ সিরাজ মিয়ার বর্তমানে বসবাসরত সাউদপাড়াস্থ বাসা দখল করছে রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রফেসর আবুল হাশেমের ছেলে মুফতি ফাহিম বিল্লাহর নেতৃত্ব একটি দল । প্রাথমিভাবে জানা গেছে, মোঃ সিরাজ মিয়া উক্ত বাসা ভাড়া নিয়ে পরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছিলেন । এ নিয়ে কোর্টে মামলাও চলমান । তবে বিভিন্ন সময় দরবার শালিসির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয় । সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মোঃ সিরাজ মিয়াকে ৩দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় দখলে নামে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ । এতে উভয় পক্ষের রনি, জনি, আবুল কাশেম, আলম, সুজনসহ আহত ৭/৮জন । ময়মনসিংহ মেডিকেলে পঠানো হয়েছে আলম নামে ১জনকে জানান ফাহিম বিল্লাহ ৷ মুফতি ফাহিম বিল্লাহ বলেন, এই জায়গা আমার মা হোসনা ইয়াসমিনের নামে । আমরা সিরাজ মিয়ার কাছে ভাড়া দিয়েছিলাম । পরে তিনি সাদেক স্যারের ছেলে সাবেতের কাছ থেকে ভুয়া দলিল করে নেয় । যা সম্পূর্ণ অবৈধ । আর এতে সহযোগিতা করেন সাবেক পৌর মোঃ মেয়র আসাদুল হক ভূঞা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ । তিনি আরো বলেন, গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নেতৃত্বে মোঃ সিরাজ মিয়াকে ৩দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত দিলেও বাসা না ছাড়ায় সব নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে দখলে এসেছি । মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ রনি বলেন, আমরা কোন অবৈধ বা দখলদারি নয় । আমাদের বৈধ দলিলপত্রাদি রয়েছে । আমাদেরকে রক্তাক্ত করে দখল করতে চাইছে । আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ পাঠানো হয়েছে । লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । SHARES সারা বাংলা বিষয়: