বন্যার ভূয়া সংবাদে বিভ্রান্ত শেরপুর জেলাবাসী দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৫ মোঃ মুরাদ মিয়া ।। উজান থেকে ধেয়ে আসছে বন্যার পানি। নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত ১০ টি গ্রাম। হঠাৎ এমন ভূয়া সংবাদে বিভ্রান্ত শেরপুর জেলাবাসী। আজ রবিবার সকালে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের খবরে এমন ঘটনা ঘটে। সেই চ্যানেলের শেরপুর জেলা প্রতিনিধির একটি লাইভ সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ১০ টি গ্রাম। এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে ধানশাইল ইউনিয়নের একটি বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামালসহ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সদ্য কর্তৃনকৃত বোরো ধানের আটি। এসময় ওই লাইভে সাংবাদিক আরো জানান, ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে ফলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোতে বন্যা অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে। কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্যমান কোন চিহ্ন নাই। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট বলছে জেলার সবকটি নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে এই ভূয়া খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলার সাংবাদিক ও সচেতন মহল। তাদের এক ফেইসবুক পোস্টে সারোয়ার জাহান বলেন, ভূয়া সাংবাদিকদের কাজই এমন গুজব খবর করা। জিএম বাবুল নামে একজন লিখেছেন ১০ গ্রাম প্লাবিত হলেও সরজমিনে একটি গ্রামও খুঁজে পেলাম না। ফুয়াদ নামে একজন কমেন্টে জানান, এসব গুজববাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। এবিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত নদীর পানি কিছু বৃদ্ধি পাওয়াতে বাকেরভিটার একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়া অন্য কোথাও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আশরাফুল আলম রাসেল জানান, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে ধানশাইল ইউনিয়নে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার কোন ঘটনা নেই। যারা এরকম ভূয়া ও গুজব সংবাদ পরিবেশন করে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রেসক্লাব থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। নাম না প্রকাশ করার শর্তে জেলার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে এই ভূয়া সংবাদে পুরো জেলাবাসী বিব্রত। এই সংবাদ দেখে আমাকে মন্ত্রনালয় থেকে ফোন করেছে। তবে আমি বলব সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। তাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের আরো দায়ীত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: