অবশেষে বদলী হলেন দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমান দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:১০ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৫ নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানকে বদলী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন পর তার বদলির এ খবরে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর পোস্ট অফিসসহ পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা, পোস্ট অফিসের গ্রাহক এবং সর্বস্হরের জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আমাদের প্রতিনিধিকে জানায়, আব্দুর রহমান ছিলেন দুর্নীতিবাজ। তার দুর্নীতির কারনে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু এরপরও সবসময়ই দুর্নীতি করে কীভাবে পার পেয়ে যায়। তাার সাথে ডাক বিভাগের ডিজি ও পিএমজি সহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ কোন দিন কিছু করতে পারেনি। কেউ কেউ বলেন, তার দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত আয়ের একটা অংশ ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা পেত বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। স্হানীয় প্রশাসন এবং কিছু সংখ্যক সাংবাদিকরাও এর ভাগ পেতেন। তার বদলির খবরে অনেকেই আনন্দিত। আবার অনেকে বলেছেন, আব্দুর রহমানের অপকর্মের ফল হিসেবে তাকে বদলি করা হলেও ডাক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাকে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষা করে নিরাপদ যায়গায় নিয়ে গেছেন। ডাক বিভাগের উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করার আগ পর্যন্ত তাকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক সাময়িক বরখাস্ত করা। অনেকে বলছেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সে যেকোন মূল্যে যে কোন সময় আবারো নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে চলে আসতে পারে দুর্নীতির সাম্রাজ্য পুনরায় বিস্তার করবে।। সে যেন পুনরায় না আসতে পারে তারও দাবী জানান ডাক বিভাগের কাছে।গত ২৯ শে এপ্রিল এবং ১৩ ই মে দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকা। সংবাদ প্রকাশের পরপরই নড়েচড়ে বসেন ডাক বিভাগ এবং ২০ শে মে স্ট্যান্ড রিলিজ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।বদলীর আদেশের কথা নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী ডিপিএমজি মহোদয় শংকর কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন ২০ শে মে আমি আব্দুর রহমানের স্ট্যান্ড রিলিজের কাগজ হাতে পাই এবং আজ ২১ শে মে তাকে কর্মস্হলে যোগদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। আজ চট্টগ্রামে যোগদান করেন বলে আমার কাছে খবর এসেছে।আব্দুর রহমানের কাছে বদলীর বিষয় মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি আজ ২১ শে মে নতুন কর্মস্হলে যোগদান করেছি আর আমি গতকাল জানতে পারি আমাকে বদলী করেছে। আমি চেষ্টা করবো এবং তদবির করবো আমাকে যেন অতিদ্রুত পূনরায় নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের দায়িত্ব প্রদান করেন এবং আমাকে পিএমজি মহোদয় আশ্বাস প্রদান করেছেন আমার বিষয়টি উনি দেখবেন।আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা অর্থ আত্মসাৎ, রড চুরির, টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদান, টাকার বিনিময়ে বদলী বানিজ্য, দুদুকের অভিযোগ সহ বিভাগীয় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে একটি অভিযোগে তার ইনক্রিমেন্ট তিন মাস স্থগিত করা হয়। ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে দুদকের অভিযোগ টি এখনো কোন সুরাহা হয় নি।অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে কোন শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে না ডাক বিভাগ। তাহলে কি আব্দুর রহমান সবাই কে টাকা দিয়ে মেনেজ করে। এতসব অপরাধের পর ও আব্দুর রহমান কে বরখাস্ত না করে পিএমজি মহোদয় উনার কাছে নিয়ে গেছেন। তা হলে কি ডাক বিভাগের মান সম্মানের চেয়ে আব্দুর রহমানের দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা ই তাদের মূল উদ্দেশ্য! SHARES সারা বাংলা বিষয়: