সুন্দরগঞ্জে স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষক,১ ঘন্টা অবস্থান করে পাওয়া গেল একজনকে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৫
মোঃ নুরুন্নবী মিয়া ।।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো, আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন কিংবা নিকটে হাট-বাজার রয়েছে এমন স্কুল ছাড়া দুর্গম বা গ্রাম গঞ্জের ভিতরে অবস্থিত স্কুলগুলো চলছে দ্বায় সারা ভাবে।শিক্ষকদের আগমন-প্রস্থান খেয়াল খুশি মতো আবার স্কুলে আসলেও ঠিক মতো স্কুল অবস্থান না করা,ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অফিসে বসে আড্ডা দেওয়া নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ১১ঘটিকা-১২ ঘটিকা পর্যন্ত অবস্থান করে  সরেজমিন দেখা যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঠগড়া ক্লাস্টারের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব দেওডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষক উপস্থিত। একঘন্টা অবস্থান করলেও প্রধান শিক্ষক সহ আর কোন শিক্ষকের দেখা পাওয়া যায়নি।সরেজমিনে আরো দেখা যায় বিদ্যালয়ের দোতলার সিঁড়িতে, বারান্দায় এমনভাবে ধানের বস্তা রাখা যে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা কিংবা জানালা খুলে আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা না থাকায় গরমে ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছে।শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীদের জন্য সাইকেল গ্যারেজে পলের ভাগাড়। দেখে মনে হচ্ছে স্কুল তো নয় যেন ময়লার ভাগাড়।
 প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এক ঘন্টা অবস্থান করলেও সহকারি শিক্ষক দীপ্তি রানী ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।এদিকে কাঠগড়া ক্লাস্টারের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিপ্লব হাসান মদীনার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান সকাল ৯ টায় আগমন এবং বিকাল ৪:১৫ মিনিটের পূর্বে কোন শিক্ষকের বিদ্যালয় পরিত্যাগের অনুমতি নাই।তিনি জানান এমনটি হলে আমি তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করছি।