রংপুরে বাল্যবিবাহের অর্ধশতক দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৫ অপরিণত বয়সে বিবাহ হচ্ছে বাল্যবিবাহ। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিবাহ যোগ্য বয়স ছেলে ও মেয়ের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ২১ এবং ১৮। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে , দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আইন যেন শুধুমাত্র প্রদর্শনীর জন্য। দেশে মোট বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশ হলেও রংপুর বিভাগে বাল্যবিবাহের হার ৬৮ শতাংশ যা বাল্যবিবাহকে ঐ অঞ্চলে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত করেছে । ৫৪ ভাগ কিশোরীর বিবাহ সম্পন্ন হয় ১৬ বছরের পূর্বেই , যা দেশের বাল্যবিবাহের জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি। গ্রামাঞ্চলে দারিদ্রতা, নিরাপত্তাহীনতা,সুষ্ঠু সামাজিকীকরণ এবং সামাজিক সচেতনতার অভাবে দিনে -দিনে বাড়ছে বাল্যবিবাহের হার । এর ফলে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধির মতো ঘটনা।গ্রাম অঞ্চলে বিবাহ আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় কর্তা, কাজী,ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের সুস্পষ্ট উপস্থিতির মধ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স বৃদ্ধি করে স্থানীয় কাজী অথবা মৌলভীদের দ্বারা আইনের অগোচরে সম্পন্ন হয় এসব বিবাহ। যা পরবর্তীতে একটি অপরিণত মেয়ে শিশুকে শিক্ষাজীবন থেকে বঞ্চিত করে সাংসারিক জীবনে পদায়ন করে নানান ঝুঁকি ও সুন্দর জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে, এর ফলে তৈরি হয় পারিবারিক ভাঙ্গন, সন্তান প্রসবকালে মৃত্যু সহ সামাজিক নিরাপত্তায় শিশু অধিকারের চরম লঙ্ঘন ,যা দেশের বিবাহ আইনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত সামাজিক অধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সবাইকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে একটি শিশুকে সামাজিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মোঃ মাহমুদুল হাসান।। SHARES সারা বাংলা বিষয়: