কেন্দুয়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৫ কোহিনূর আলম।। নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত জেরে ও উক্ত ঘটনা সাংবাদিকদের পরিদর্শনের রেশে হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে । সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের গৈচাশিয়া গ্রামে মৃত আব্দুল গফুর মাস্টারের ছেলে কামরুল ইসলামকে মরিচপুর- গৈচাশিয়া রোডে অতর্কিত হামলা চালায় গৈচাশিয়া গ্রামের আহমেদ হোসন ও ছেলে মালেক, শামীম ও জসিম গংরা । স্থানীয়রা আরো বলেন, আহমেদ হোসনের বাড়ি হাজতি বাড়ি নামেই পরিচিত । কারণ তারা অধিকাংশ সময়ই মারামারি ও খুনখারাপি নিয়ে ব্যস্ত থাকে । তাই এই নামেই সমধিক পরিচিত । স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল ইসলাম ও মোঃ বাদল বলেন, বিলকিস ও তাঁর স্বামীর মধ্যে সমস্যা চলাকালে কামরুল ইসলাম বিলকিসের স্বামীর কাছ থেকে জায়গা ক্রয় করে । কিন্তু বিলকিস ভালোভাবে নেয় নি । বাধে সমস্যা । এবং এ সমস্যা দীর্ঘদিনের । কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়কৃত (আমির হোসেনের কাছ থেকে) জমি থেকে বাঁশ, কাঁঠাল ও সুপারি গাছ কেটে নিয়ে যায় বিবাদীরা । পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ঘটনার তথ্য যাচাই করে । এটা আহমেদ হোসেন গং ভালোভাবে নেয় নি । কেনো সাংবাদিক আসলো এই বলে পথিমধ্যে তারা আমার ওপর চড়াও হয় । গালিগালাজ, মারধর করে ও আমার পকেটের টাকাও নিয়ে যায় । এমনকি আমাকে দৌঁড়িয়ে মারতে মারতে মাটিতে পড়ে জসিমের নিজের হাতও ভেঙে যায় । ১৪জুন কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগও করেছি । কিন্তু ১৬জুন তারা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে । কামরুল ইসলামের চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার জেরে গত ১৩জুন দিবাগত রাতে বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছও মেরে ফেলে আহমেদ হোসেনরা । পরবর্তীতে থানায় লিখিত অভিযোগ করি । আহমেদ হোসনের মেয়ে ও আমির হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, অন্য জায়গা থেকে গাছ কেটেছি । তাঁর জায়গা থেকে কাটার অভিযোগ মিথ্যা । তাছাড়া কামরুলের ক্রয়কৃত জায়গায় পিয়শন করা আছে । তিনি আরো বলেন, জসিমের হাত ভেঙে দিয়েছে কামরুল ।আহমেদ হোসনের ছেলে জসিম বলেন, যে জায়গা নিয়ে সমস্যা সেই জায়গা না দেখিয়ে অন্য জায়গা দেখানো হয় সাংবাদিকদের । সাংবাদিক আনলেন কেনো এবং অন্য জায়গা কেন দেখানো হলো তাদের, সেই কথা জিজ্ঞেস করতেই আমাকে মারধর শুরু করে কামরুল ইসলাম গং। ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হানিফ উদ্দিন বলেন, জায়গা জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা । সামাজিকভাবে আলোচনায় শেষ করা যাচ্ছে না । একটি পক্ষ (আহমেদ হোসেন গংরা) একটু বেশি উত্তেজিত । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার এসআই ও তদন্ত অফিসার মোঃ বাদল মিয়া মুঠোফোনে গাছ কাটা ও সাংবাদিক যাওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । তিনি আরো বলেন, উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন । SHARES সারা বাংলা বিষয়: