আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে মেধার প্রভাব বাড়বে ; চাঙা বিএনপি, জামায়াত ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কর্মীরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৫ রাখী গোপাল দেবনাথ ।। কিশোরগঞ্জের নিকলী- বাজিতপুর ( কিশোরগঞ্জ -৫) সংসদীয় আসনে গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর আইনগতভাবে আওয়ামীলীগের এখন কোন দলীয় কার্যক্রম নেই। কার্যালয়গুলোতে দেওয়া হয়েছে তালা। নেতারা সবাই আত্মগোপনে।লীগের সহযোগী জাতীয় পার্টির অবস্থা নাজুক। তবে একেবারে বিপরীত চিত্র বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের। এই তিন দলের কার্যালয়ে বেড়েছে নেতা–কর্মীদের আনাগোনা। রাজনীতির ময়দানে নতুন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো কমিটি এখনো হয়নি। সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের কিছু কার্যক্রম আছে । গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের আগে বিএনপি ও জামায়াত নেতা–কর্মীরা ভয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসতে পারত না। এখন এই দল দুটির কার্যালয় জমজমাট। নেতা-কর্মীদের পদচারণে মুখর থাকে দলীয় কার্যালয় দুটি। নেতা-কর্মীরাও ফুরফরে মেজাজে আছেন। বিএনপির যেসব নেতা-কর্মী নানা ঝামেলা এড়াতে দলের কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতেন, তাঁরা এখন দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করছেন। যদি ও নির্বাচন নিয়ে নিকলী উপজেলা বিএনপি দুগ্রুপে বিভক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যর সিনেটর শেখ মুজাহিদুর রহমান চন্দনের ভাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আমির উদ্দিনের সন্তান ও জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এড. বদরুল মোমেন মিঠু পৃথকভাবে দুটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের মধ্যে বিভেদ প্রকাশ্য দেখা যাচ্ছে দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচিতে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সরব। দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এবং জামায়াত নেতা এ টি এম আজহার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে সতেজতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সমর্থিত সমমনা দলগুলোকে নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে ঈদ পরবর্তী পূর্ণমিলনী করছে দলটি। এদিকে নিকলীতে এনসিপির ও গণ অধিকার পরিষদের কোনো কমিটি এখনো হয়নি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,খেলাফত মজলিশসহ অন্যান্য ইলামিক দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে।তারা সরাসরি বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীকে সাপোর্ট করছে বিভিন্ন কার্যক্রমে । রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর নিকলী বাজিতপুরের রাজনীতির দৃশ্যপট পুরোটাই পাল্টে গেছে। উপজেলার রাজনীতির মাঠে বিএনপি আর জামায়াত বেশ সক্রিয়। দল দুটি সংগঠনকে গোছানোর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাঠ গোছাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে এখন বেশ সক্রিয়। সুযোগ পেলেই জনসংযোগের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। নিকলী-বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ-৫) সংসদীয় আসনে বিএনপি এখনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করলেও জামায়াতে ইসলামী নিকলী বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ-৫) নির্বাচনী আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়েত ইসলামের আমির অধ্যাপক রমজান আলীর নাম ঘোষণা করেছে। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার ও নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে একাধিক প্রার্থী। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল,কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এড. বদরুল মোমেন মিঠু, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক হাজী মাসুক মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম রাজন,এ্যাসিটেন্ট এটর্নি জেনারেল জামিউল হক ফয়সাল, বাজিতপুরের সাবেক পৌর মেয়র এহসান কুফিয়া, ও বাজিতপুর পৌর বিএনপি নেতা মীর জলিল এলাকায় নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন ও নির্বাচনী প্রচারনা করছেন । এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে একটি চিঠিও ইস্যু করা হয়েছে যাতে আসনটি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা কে বিএনপির সকল কাজে অংশগ্রহনে নেতা-কর্মীরা তাঁকে সহযোগিতা করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের বাড়ি বাজিতপুর । তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করছে। এদিকে ক্লিন ইমেজের লোকই বিএনপি থেকে নমিনেশন পাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।জনগন প্রত্যাশা করে আসন্ন নির্বাচনে ত্যাগী কর্মীরা যেন মূল্যায়িত হয়। যারা বিগত বছরগুলোতে লীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ পেয়েছে তারা যেন ক্ষমতার মসনদে না আসে । নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ সরকারি কলেজের ইংরজি বিভাগের প্রভাষক ও নিকলী ফিস ফ্যাসিলিটর গ্রুপ (পিএফজি)’র এ্যাম্বাসেডর এ এস এম আছাদ বলেন আসন্ন নির্বাচনে যারা সম্ভব্য প্রার্থী তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। এটা ভালো দিক। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নিকলী – বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ -৫) হয়ত শিক্ষিত প্রতিনিধি পাচ্ছে। তাহলে কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনে টাকার প্রভাব কমবে আর মেধার প্রভাব বাড়বে। নিকলী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি ও সাবেক মেম্বার জসীম উদ্দিন বলেন জনগনের মাঝে ভোটের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।তরুণ ভোটাররা ভোটের বিষয়ে খুবই সজাগ।জনগনই যোগ্য ব্যক্তিকেই বাঁচাই করবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: