২৯ গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসন পুনঃ উদ্ধারে তৎপর জামাত,একক প্রার্থী নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থায়

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫
মোঃ নুরুন্নবী মিয়া ।।
উত্তরের অবহেলিত জনপদ ২৯ গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসনটি  ১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।মোট ভোটার প্রায় ৪ লক্ষ।এ সংসদীয় আসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ এগিয়ে আসেনা।ভোট আসলে নানান প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ কথা রাখেনা বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের। বন্যা,খড়া,মঙ্গা,নদী ভাঙ্গনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বাচতে হয় এ জনপদের মানুষকে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯ গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসনে বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলাম থেকে জেলা জামাতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাজেদুর রহমানকে গত ৪ঠা জুলাই রংপুর বিভাগীয় মহাসমাবেশে লাখো জনতার মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।একক প্রার্থী থাকায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলাম।
জামায়েতের দূর্গ খ্যাত এ আসনটি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।২০০১ সালের পর এবার নেতাকর্মীদের সমানে এক কঠিন পরীক্ষা,শতভাগ জয় দিয়ে তারা দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়।
সরেজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায় ৫ই আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর বিগত ১ বছরে টপ টু বটম সকল স্তরের নেতাকর্মী উপজেলার হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট,ক্ষেতে-খামারে, অলিত-গলিতে আবাল,বৃদ্ধ,বনিতা সবার কাছে নিরলস ভাবে দাওয়াতী কাজ করে যাচ্ছেন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন,সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়নে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধ্যাপক মাজেদুর রহমান এর পক্ষে দাঁড়ি পাল্লা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে আসছেন।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।হরিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোঃ আঃ রাজ্জাক মিয়া জানান জয় আমাদের নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ, আমাদের নেতা কর্মীরা যেভাবে দিন রাত একাকার করে কাজ করে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলামের উপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসছে।১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলাম এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বাবু জানান বিগত ১৫ বছর পাতানো নির্বাচন না হলে প্রতিটি নির্বাচনে ২৯ গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসনে সংসদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব থাকতো।এদিকে ১নং বমনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জে আই মোঃ মিলন সরকার বলেন বিগত ১৫ বছর সবচেয়ে বেশি জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলাম এর নেতাকর্মীরা,আমরা বিগত ১৫ টি বছর পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম,৫ই আগষ্টের পর আমরা আবার ঘুরে  দাঁড়িয়েছি,জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
মূল সংগঠনের পাশাপাশি উপজেলা জুড়ে যুব ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন তরুণ ও যুবকদের দলে আকৃষ্ট করার জন্য তাদের দলের নীতি ও আদর্শের কথা তুলে ধরছেন কারন এবারের নির্বাচনে জিততে হলে তরুন এ ভোটাররা ট্রাম্প কার্ড হয়ে দাড়াবে।
সাধারণ ভোটারদের মতে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়,তারা এমন প্রার্থী নির্বাচিত করতে চান যিনি তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ,নদী ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ,বিভিন্ন দুর্যোগে পাশে থাকবেন,বেকার সমস্যা সমাধান ও মঙ্গা পীরিত এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠা করে কর্মের ব্যাবস্থা করবেন।
উল্লেখ্য  ২০০১ সালে এ আসনে চার দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে আবু সালেহ মোহাম্মদ আবদুল আজিজ প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।