গভীর সমুদ্রে ৪ দিনের লড়াই শেষে নৌবাহিনীর হাত ধরে প্রাণে বাঁচল ১৮ জেলে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৫

গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ধরে ভাসতে থাকা ‘হাবিবা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১৮ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ নিয়মিত টহলকালে কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূল থেকে প্রায় ২৫ মাইল পশ্চিমে ভাসমান অবস্থায় থাকা ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার করে।নৌবাহিনী সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছিল। এসময় তারা একটি মাছ ধরার ট্রলারকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভাসতে দেখে। ট্রলারের জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখে সাহায্যের জন্য বিপদ সংকেত দিলে জাহাজটি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।উদ্ধারের পর জেলেরা জানান, ভোলার মনপুরা জনতা ঘাট থেকে আ: জলিল মাঝীর নেতৃত্বে তারা মাছ ধরতে সমুদ্রে এসেছিলেন। কিন্তু চার দিন আগে হঠাৎ তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে উত্তাল সমুদ্রে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে তারা মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন।নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেদের করুণ অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জন্য জরুরি খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে, নৌবাহিনী ট্রলারটিকেসহ ১৮ জেলেকে নিরাপদে কুতুবদিয়া উপকূলে পৌঁছে দেয়। উদ্ধার হওয়া সকল জেলে বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।জীবন ফিরে পেয়ে জেলেদের দলনেতা আ: জলিল মাঝী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “সাগরের মধ্যে যখন খাবার-পানি সব শেষ হয়ে গেল, তখন বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। নৌবাহিনীর জাহাজটি দেবদূতের মতো এসে আমাদের বাঁচিয়েছে। আমরা তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।”উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ব্লু-ইকোনমির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জেলেদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক উপকূলীয় সুরক্ষায় নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক সহায়তা ও নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মো: হোসাইন।।