ফ্যাসিস্ট হাসিনা পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে: মনোহরদীতে বক্তব্যে আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২৫
মো হিমেল মিয়া। ।   ৫ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বেলাব-৪ এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো একটি ঐতিহাসিক বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা। জুলাই-আগস্ট মাসব্যাপী গণঅভ্যুত্থান, শোক এবং বিজয়ের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন করে বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনসমূহ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে মনোহরদী উপজেলা এবং জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বক্তব্যে আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, আওয়ামী শাসনামলে জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থা একটি সুসংগঠিত ফ্যাসিবাদে রূপ নিয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করা হয়েছে। হাজারো তরুণকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে, মা-বোনেরা হয়েছেন বিধবা। তা সত্ত্বেও বিএনপি গণতন্ত্রের আন্দোলন থেকে কখনো পিছিয়ে যায়নি। তিনি বলেন, ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতির ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্ত। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে— কোনো পাসপোর্ট কিংবা ভিসা ছাড়াই। এই বিজয় গোটা জাতির বিজয়। বিএনপি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে আপসহীন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র মেরামতের যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন, গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা যেন তাদের প্রথম ভোট দেন ধানের শীষে— এই হচ্ছে তারেক রহমানের ডাক। সভায় উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি মাহমুদুল হক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি একে এম বাছেদ মোল্লা ভূট্টো, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেন্টু ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল, মনোহরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাদিম মাহমুদ বায়েজীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শহীদুল্লাহ, কৃষকদলের আহ্বায়ক আলী আকবর, সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হোসেন উজ্জ্বল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিউদ্দিন আহমেদ করুন, পৌর কৃষকদলের আহ্বায়ক কাজল কমিশনার ও সদস্য সচিব হান্নান কমিশনার, পৌর বিএনপির সদস্য আকরাম কমিশনার, উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির আকন্দ, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাম্মির রহমান টিপু, ছাত্রনেতা মহসিন, সোহেল, তানভীর, জাহিদুল ইসলাম, খিদিরপুর ইউনিয়নের ছাত্রনেতা নাঈম আহমেদ বুলবুল, টিটু প্রামাণিক ও রাজনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তব্য শেষে বিশাল বিজয় র‌্যালি বের হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। স্থানীয় জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে রাজপথ গর্জে ওঠে। দলীয় পতাকা, স্লোগান ও উচ্ছ্বসিত নেতৃত্বে সেদিনের মনোহরদী যেন রূপ নেয় বিএনপির গণজাগরণের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবিতে।