বরগুনার আমতলীতে ইশা আন্দোলনের নেতা রেজাঊর করিম নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবীতে ফের সড়ক অবরোধ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৫
 বরগুনার আমতলীতে বাস চাপায় মঙ্গলবার রাতে ইশা আন্দোলনের নেতা প্রভাষক রেজাউল করিম নিহতের ঘটনায় রাতেই মামলার পর বাসসহ চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে  জেল হাজতে পাঠিয়েছে আমতলী থানা পুলিশ। এঘটনায় ইশা আন্দোলনের নেতা কর্মীরা এবং আমতলী বন্দর হোসাইনয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবীতে মঙ্গলবার রাতের পর  বুধবার সকাল থেকে ফের আমতলী -ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে।
নিহত রেজাউল করিম গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল হকের ছেলে। সে আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কমিল মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন ইসলামী আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক মো. রেজাউল করিম মঙ্গলবার ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুল্থান কর্মসূচী পালন শেষে আমতলী শহর থেকে মোটর সাইকেল যোগে সন্ধ্যা ৬টার সময় আমতলী-ঢাকা রুটের আঞ্চলিক মহসড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটখালী ব্রীজের নিকট যাওয়া মাত্র বিপরীত দিক থেকে চালিয়ে আসা  ছন্দা (পটুয়াখালী-ব-১১-০০৪৫) নামের একটি বাস রেজাউলের মটর সাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘনটাস্থলেই সে নিহত হয়। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের শত শত নেতা কর্মীরা রেজাউলের নিহতের ঘটনায় বাস চালক এবং হেলপারকে আটকের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। দুই ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। ঘটনার পর  ঙ্গলবার রাতেই নিহতের ভাই মাওলানা মো. ফয়জুল করিম বাদী হয়ে  সড়ক পরিবহন আইনে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আমতলী থানার পুলিশ ঘাতক বাসটিকে চালক মো. নুর জামাল (৪০), সুপারভাইজার মো. আকতারুজ্জামান মোল্লা (২৫) ও হেলপার মো. আমির হোসেনকে (৩০ কে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।
আমতলী উপজেলা ইশা আন্দোলনের  নেতা  ও প্রভাষক মো. রেজাউল করিমের নিহতের ঘটনায় অপরাধী বাস চালক, হেলপার, ও সুপারভ্জাারের ফাঁসির দাবীতে মঙ্গলবার রাতের পর বুধবার সকাল ১০টা থেকে ইশা আন্দোলনের নেতা কর্মীরা এবং আমতলী বন্দও হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফের আমতলী- ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের আমতলী একেস্কুল চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে টায়ায় জ¦ালিয়ে এবং সড়ক দখল করে বিক্ষোবের  ৬ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাতেই মামলার পর অভিযান চালিয়ে চালক হেলপার, সুপার ভাইজারসহ  বাসটিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩জনকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদ হোসেন খিজির।।