রংপুর জেলা রেজিষ্ট্রারের কর্মজীবন শেষের দিকে এল পি আর এর দ্বারপ্রান্তে দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৫

রংপুর জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এল পি আর এ যাওয়ার আগ মহুর্তে দূর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী সাধারন জনগন ও তার অফিসে কর্মরত অফিস সহকারী, মোহরার, নিকাহ্ রেজিস্টার ও নকল নবিশ কারক গন। জানাযায় গত বছরে ২০ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত নিকাহ নামা রেজিষ্ট্রারের লাইসেন্স যাহার নং- ১০০০০০০০.১৩১.১১.০০৯.৮৯-১৯৫ স্বারকে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ০৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নে মোঃ মামুনুর রশিদ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৩য় স্থানে অবস্থান করার পরেও জেলা রেজিস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম ২০,০০০,০০/ ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে পরিক্ষায় প্রথম স্থানে থাকা মোঃ আল আমিন কে ব্যাতি রেখে মামুন আর রশিদ কে লাইসেন্স প্রদান করার জন্য আই জি আর অফিস ও মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়ে তাকে নিয়োগ দিয়ে ২০,০০০,০০/ টাকা হাতিয়ে নেন। পরবর্তীতে প্রথম স্থানে থাকা আল আমিন উক্ত লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ চেয়ে রিট করেন এবং হাই কোর্ট উক্ত স্বারক নং লাইসেন্স এর বিরুদ্ধে উক্ত নিকাহ্ নামা রেজিষ্ট্রারের  যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধের আদেশ প্রদান করে রুল জারী করলেও জেলা রেজিস্টার মোঃ রফিকুল ইসলামের ইশারায় ৩ নং ইটাকুমারী ইউনিয়নের নিকাহ্ নামা সহ যাবতীয় কার্যক্রম ও নানা রকম দূর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন মোঃ মামুন অর রশিদ। এসম্পর্কে জানতে মোঃ মামুন অর রশিদ মুটোফোনে জানান আমি নিয়োগ প্রাপ্ত বৈধ কাজী জেলা রেজিস্টার কে ২০,০০০,০০/  টাকা দিয়ে সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের আরও ১০,০০০,০০/ টাকা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছি আমার নিয়োগের পর হাইকোর্টে মামলা হয়েছে আমি বৈধ কাজী। এব্যাপারে জেলা রেজিস্টার ও উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার পীরগাছার সহিত সরাসরি ও মুটোফোনে যোগাযোগ করলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। জেলা রেজিস্টার বলেন অনলাইনে দেখেন তার লাইসেন্স আছে। মামুন অর রশিদ বৈধ কাজী কি না এবিষয়ে জানতে গত ২২/০৭/২৫ ইং তারিখে তথ্য অধিকার ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করে জেলা রেজিস্টার ও উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার বরাবর মোঃ আনিছুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন তথ্য না পেয়ে হতাশ হয়েছেন তিনি বলেন দেশে এমন কর্মকর্তারা থাকলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবেনা, তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়াও জেলা রেজিস্টার এল পি আর এ যাওয়ার আগে জেলা ও জেলার অধিনস্ত সকল উপজেলা সাব- রেজিস্টার  অফিসে পদোন্নতি, স্থায়ীকরণ, বদলির তদবির, নতি ও তথ্য গায়েব, করা বাবদ অফিসে তার কিছু ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী দালালের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে।উল্লেখ্য উক্ত জেলা রেজিস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম আগামী ০৩/০৯/২০২৫ ইং তারিখে এল পি আর এ যাবেন তাই শেয মুহুর্তে জেলা রেজিস্টার অফিসকে ঘুষের স্বর্গ রাজ্য বানিয়েছেন এবং কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না রংপুরের সাধারন জনগন ও ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সু- দৃষ্টি কামনা করছেন।

হাসান মোঃ মহসিন কামাল।।