জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় কোটালীপাড়ায় বদলি বাণিজ্য ও দুর্নীতি, সংশ্লিষ্টদের ক্ষোভ ও তদন্ত দাবি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ শেখ ফরিদ আহমেদ।। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্য ও আর্থিক অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, তার এসব কর্মকাণ্ডে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুন নির্লিপ্ত, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। অভিযোগ রয়েছে, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষিকা ইতি হালদারকে বিধি বহির্ভূতভাবে ডেপুটেশনে বদলি করা হয়। মাত্র ৬ দিন দায়িত্ব পালনের পর মৌখিক নির্দেশে তাকে অন্য বিদ্যালয়ে যোগদান করানো হয়—যেখানে শিক্ষা আইনে মৌখিক ডেপুটেশনের কোনো বিধান নেই। এমনকি সরেজমিন তদন্ত এড়াতে তড়িঘড়ি করে একটি ভুয়া চিঠি তৈরি করে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন নেওয়া হয়। এছাড়া বাহির শিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিলা রানী সাহাকে টুঙ্গিপাড়ায় বদলি দেখানো হলেও প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে কোনো শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। পরে জেরার মুখে শেখর রঞ্জন নিজেই স্বীকার করেন, প্রতিস্থাপন হয়নি। একাধিক প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থের (স্লিপের টাকা) একটি অংশ নিয়মিতভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিতে হয়। এমনকি কোনো কোনো সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সরাসরি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের কেনাকাটাও করেন। এইসব অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুন জানান, “আমার করার কিছু নেই।” এমনকি তিনি এটিকে অপরাধ হিসেবেও মনে করেন না বলে জানা গেছে। সচেতন মহল মনে করছে, কোটালীপাড়ার শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্নীতির নেপথ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রশ্রয়ই বড় কারণ। ফলে প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন । SHARES সারা বাংলা বিষয়: