বাঞ্ছারামপুরে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গা পূজায় মাদক ও ডিজে পার্টি চলবে না

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
রিপন সরকার ।।
শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গা পূজাতে,,
নামাজের সময় মাইক ও ঢাকের আওয়াজ বন্ধ রাখুন, বাঞ্ছারামপুর ১৩ টি ইউনিয়নে শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাপূজা হবে, প্রতিটি  পুজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রবেশ এবং বের হওয়ার আলাদা পথ রাখতে হবে। পূজার সৌন্দর্য ও পবিত্রতা বজায় রাখতে মাদক  ও ডিজে পার্টি পরিহার এবং নামাজের সময় মাইক ও ঢাকের আওয়াজ বন্ধ রাখতে হবে। পূজার আগে  সকল রাস্তার মেরামত করে দেয়া হয়,  উৎসবের দিনগুলোতে যে কোনও ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে সেনাবাহিনী,র‍্যাব,বিজিবি,পুলিশ,আনসার ও ভিডিপি ও সকল দলিয় সদস্য মোতায়ন থাকবে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবক,যাদের মূল দায়িত্ব হবে মণ্ডপের নিরাপত্তা। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি মূলক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।আজ বিকালে উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার বাবু রতন সাহা আহ্বায়ক,সভা সঞ্চালনা করেন শ্যামল সূত্রধর।মানিক সূত্রধর  সদস্য, আসন্ন দুর্গা পূজা সুষ্ঠ, সুন্দর ও নিরাপত্তার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সনাতনী নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা- মতবিনিময় ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নবগঠিত কমিটিকে বরণ করেন এবং প্রতিটি পূজা মান্ডপে অনুদান প্রদান করেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বাঞ্ছারামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ ভাই, সাধারণ সম্পাদক জনাব এ. কে. এম মুসা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সনাতনী সম্প্রদায়ের হিন্দু নেতৃত্ব সমাজ ব্যবস্হা উপস্থিত ছিলেন, সাথে ছিলেন সাধারণ জনগন,গত বছরের তুলনায় কিছু বেশি পূজা হবে,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সবচেয়ে ব্যয় বহুল পূজা উজানচর, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন  মণ্ডপে প্রায় ৩ হাজারের মতো আনসার ভিডিপির সদস্য মোতায়েন করা হবে। টহলে থাকবে সেনাবাহিনী,
অতিগুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে ৮ জন,কম গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ মণ্ডপগুলোতে ৬ জন সদস্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পুরুষ—মহিলার প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে।বিদ্যুতের ব্যাকআপ হিসেবে জেনারেটর, বিকল্প আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
 প্রতিটি মণ্ডপে প্রবেশ এবং বের হওয়ার আলাদা পথ রাখতে হবে। সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে। কোন ঘটনা ঘটলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবে, তাদের গলায় পরিচয়পত্র রাখলে আরও ভালো হয়। তাদের তালিকাও আমাদেরকে দিতে হবে, যাতে কোন প্রয়োজনে আমরা যোগাযোগ করতে পারি। পূজার সৌন্দর্য ও পবিত্রতা বজায় রাখতে নেশা ও ডিজে পার্টি পরিহার করতে হবে। আজান ও নামাজের সময় মাইক ও ঢাকের আওয়াজ বন্ধ রাখতে হবে ।
 যেসব রাস্তায়  লাইট নেই, সেখানে লাইট লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জন সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। আজ ২৭সে সেপ্টেম্বর, ১০ ই আশ্বিন  শনিবার পঞ্চমী তিথি তে সায়ংকালে বিল্লবৃক্ষের পূজা মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এর মধ্যে দিয়ে ই  শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গাৎসবের শুভ সূচনা ঘটে।
এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার মহাষষ্ঠী,২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মহাষ্টমী, পহেলা অক্টোবর বুধবার মহানবমী এবং ১৫ ই আশ্বিন,  ২রা অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।এ বছর মহাসপ্তমী সোমবার দেবী শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গা পূজার  পরিবারবর্গ নিয়ে  গজে বা হাতিতে আগমন ঘটে । শাস্ত্র মতে যা দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। দেবীর আগমন বা গমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ—শান্তি—সমৃদ্ধিতে। পূর্ণ হয় ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। পরিশ্রমের সুফল পায় মর্তলোকের অধিবাসীরা। এছাড়াও বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার পড়ায় দেবীর গমন হবে দোলা বা পালকিতে।