১০ গ্রামের ভরসা একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৫
মাজারুল ইসলাম ।।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া কাঠিরা দুই গ্রাম  মাঝে বয়ে চলা একটি খাল যার উপরে ছোট্ট একটি  কাঠের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ  এই কাঠের সাঁকো দিয়েই পার হয় এই ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের  হাজারো মানুষ।
ব্রিজটি রাহুৎপাড়া – কাঠিরা সংলগ্ন জায়গায়। ৫/৭ টি গ্রামের মানুষ এ পথদিয়ে চলাচল করে। এখানে রয়েছে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রশান্ত রায়ের বাড়ি, যেখানে প্রচুর রোগী আসেন যা চলাচলে বিগ্ন ঘটে, রয়েছে একটা মিশন স্কুল, সাথেই একটা শ্রীশ্রী হরি ঠাকুরের মন্দির। প্রায় ১০ হাজার মানুষের সংযোগ স্থল বা সেতুবন্ধন এই কাঠ বাঁশের সেতু। সাথেই রয়েছে দুজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি যারা এই সাঁকো পার হয়েই উপজেলা সদর  আগৈলঝাড়াতে আসেন।  ব্রিজটির পূর্ব ও পশ্চিম দিকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ব্রিজ নেই।
গ্রামের যুব সমাজ এই ব্রিজটি সংস্কারের উদ্দ্যোগ নিয়ে প্রতি বছরই মেরামত করে। চলতি বছরের পূজায় লোকজন যাতে সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারে তাঁর জন্য গ্রামের যুবকরা উদ্দ্যোগ নিয়ে এটি সংস্কার করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাঁকোটির অনেক জায়গায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে পাটাতন দেয়া হয়ে থাকলেও মানুষের যাতায়াতে সাঁকোটি হেলে  পরেছে।  এছাড়াও কাঠের তক্তাগুলো ঢিলে হয়ে পড়েছে, কোথাও আবার খুলে গেছে। ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ হালকা যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাঁকোর দুই পাশে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তবে বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে  ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে খালের দুই পাড়ের হাজারো শিক্ষার্থী, শ্রমিক, কৃষক।
এই গ্রামের বাসিন্দা ডাক্তার প্রশান্ত রায় জানান, আমাদের এই অঞ্চল দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন  বঞ্চিত। একটি পাকা ব্রিজ হলে নির্বিঘ্নে আমরা যাতায়াত করতে পারতাম।
একই গ্রামের লিমন সরদার বলেন, “রাতে টর্চ লাইট নিয়ে পা টিপে টিপে চলতে হয়। এত বছর ধরে এই অবস্থায় আছি। কৃষিপণ্যের বাজারজাত, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সব কিছুতেই সমস্যা হচ্ছে।
আগৈলঝাড়া এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী বাবু রবীন্দ্র চক্রবর্তী  জানান, ঘটনাস্থলে আমার যাওয়া হয়নি ,ওই এলাকায় যদি ব্রীজের একান্তই প্রয়োজন হয় আমাদের লিখিত আবেদন সহকারে অফিসে জমা দেয়ার অনুরোধ। আমরা পর্যালোচনায় ব্রিজটি নির্মাণ কাজ করব।