পাঁচবিবিতে বাঁশখুর গ্ৰামে ২ যুবক মেয়ের বাড়িতে ঢুকে ধর্ষন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৪

আল আমিন।পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বাঁশখুর গ্ৰামে, মোঃ আজিজ মন্ডল এর বাড়িতে তাঁর ই মেয়ে মোছাঃ মরিয়ম খাতুন ( 20) কে দুই যুবক মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আজ মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।

৯৯৯ লাইনে ফোন দিলে, সাথে সাথে পুলিশ ও তদন্ত কর্মকর্তা চলে আসে।

তদন্ত চলাকালীন ভুক্তভোগী মেয়ে ও তার মা সাংবাদিকদের বলেন,

ধর্ষনকারী ধর্ষন করার সময় মেয়েটির মা এমন অবস্থায় ঘরে প্রবেশ করলে সাবাইকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে চিল্লাচিল্লি করে এমন সময় পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মোঃ ইব্রাহীম নামে এই ছেলেটি দৌড়ে এসে মেয়ে সহ তিন আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এমনত্ব অবস্হায় ছেলের পক্ষে (মোঃ মামুন) এসে ঘরের তালা খুলে দিয়ে ধর্ষন কারীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।

এ পর্যায়ে ইব্রাহিম ও মামুনের মধ্যে হাতাহাতি এবং একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে মারামারি হলে মানুন আহত হন,এই অবস্থায় তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী মরিয়ম বলে আমাকে ৩-৫ মিনিট ব্যাবহার করার পরে আমার মা চলে আসে । মা এসে চিল্লাচিল্লি করলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

তদন্ত কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমরা এই মেয়ে কে নিয়ে মেডিক্যাল করব ,যদি মেয়েটি কথাও মেডিকেল রিপোর্ট সত্যি হয়, তাহলে আমারা আইনী ব্যবস্থা গ্ৰহন করব।

এদিকে ছেলেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করলে তাঁরা বলে , আমাদের ছেলেদের কে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে ঐ মেয়ে এবং মেয়ের মা।

গ্ৰামের লোকজন জানে আমাদের ছেলেদের বিষয়ে তারা কেমন।

মরিয়ম কে ধর্ষনকারীরা হলেন।
১ | মোঃ মোতালেব হোসেন (২২) ছাত্র শিবিরের স্হানীয় ইউনিয়ন সদস্য।

পিতা মোঃ মনির উদ্দিন

গ্ৰাম : বাশঁখর

২ | মোঃ মিনহাজুল ইসলাম মিশু (১৬)ছাত্র শিবিরের স্হানীয় ইউনিয়ন সদস্য।

পিতা মোঃ আনিছুর রহমান

গ্ৰাম: বাঁশখুর

ঘটনা তদন্তে সত্যি প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তা হতে পারে।
ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু, ইত্যাদির শাস্তি

৯৷ (১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি 1[মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

ব্যাখ্যা৷- যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত 2[ষোল বৎসরের] অধিক বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তাহার সম্মতি আদায় করিয়া, অথবা 3[ষোল বৎসরের] কম বয়সের কোন নারীর সহিত তাহার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।

(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার অন্যবিধ কার্যকলাপের ফলে 4[ধর্ষণের শিকার] নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-

(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি 5[মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;

(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।

(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে কোন নারী 6[ধর্ষণের শিকার] হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ 7[ধর্ষণের শিকার] নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে 8[দায়িত্বপ্রাপ্ত] ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন।