পূর্বধলায় পাতিহাঁসের ধান খাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ হত্যার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২৪ মো: পিয়াস।নেত্রকোনার পূর্বধলায় পাতিহাঁসের ধান খাওয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আল আমিনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। তিনি পূর্বধলা উপজেলারর খামারহাটি (কোণাপাড়া) গ্রামের মো. নুরুল আমিন মাস্টারের ছেলে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধ খুরশেদ আলম (৫৬) একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে তাকে র্যাব-১৪ (সিসিপি-২) এর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়ড্রন লিডার আশরাফুল কবির, সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী ও সিপিএসসি’র স্কোয়াড কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মুহা. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল আল আমিনকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ময়মনসিংহ র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরীর প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। র্যাব জানায়, ভুক্তভোগীর বসতবাড়ীর পেছনে বৃদ্ধ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. নুরুল আমিন মাস্টারের (৫৫) ধান ক্ষেত রয়েছে। বাড়ির সীমানা পেছনে ভুক্তভোগীর লাগানো কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রকারের ফলজ গাছ আছে। এসব গাছ নুরুল আমিন মাস্টারের ধানক্ষেতে হেলে পড়ায় আসামিরা প্রায় সময় ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজনদেরকে গালিগালাজ করে আসছিল। গত ১২ এপ্রিল বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে নুরুল আমিন মাস্টার ও তার ছেলে আল আমিন জমিতে এসে বৃদ্ধ খুরশেদ আলমের নাম ধরিয়া গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় খুরশেদ আলম ও তার ছেলে মো. মোমেন মিয়া (২৪) হাঁস তাড়াইয়া নেওয়ার সময় বৃদ্ধ গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খুরশেদ আলম আসামিদের কথার উত্তর দিলে আল আমিন ভুক্তভোগীকে ঘাড় ধরে সজোরে ধাক্কা মেরে জমিতে থাকা লম্বা সিমেন্টের খুঁটির উপর ফেলে দেয়। র্যাব আরও জানায়, ভুক্তভোগী অজ্ঞান হয়ে পড়লে খুরশেদ আলমকে উদ্ধারপূর্বক হাসপাতালে নেওয়া সময় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী ও তার ছেলে মোমেন মিয়াকে এলোপাতারি মারতে থাকে ও হাসপাতালে নিতে বাধা প্রদান করে। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে মোমেন মিয়া বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও আরও তিন-চারজনকে অজ্ঞাত করে গত ১৩ এপ্রিল হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা আত্মগোপনের চলে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আল আমিন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব। SHARES সারা বাংলা বিষয়: