কেন্দুয়ায় সুদের টাকা আদায়ে অভিনব কৌশল সহকারী প্রধান শিক্ষকের

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২৪

কোহিনূর আলম।নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া পৌর শহরের শান্তিবাগের বাসিন্দা ও এক সময়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিজন কুমার এস এর কাছ থেকে সুদের টাকা আদায়ে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ ।

গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেন্দুয়া জয় হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছুটির সময়ে একই প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া মোঃ হারুন অর রশিদের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কর্তৃক বিজন কুমার এস এর মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির পূজা রাণী এস (১২) মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দু’দিন যাবত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।

বুধবার (১ মে) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে দেখতে যান কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল ওয়াহাব, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কিশোর কুমার শর্মাসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ । কথা হয় পূজা রাণী এস ও তাঁর মা সুইটি রাণী এস এর সাথে । পূজা রাণী এস বলেন, হারুন স্যারের মেয়ে আমাকে যা ইচ্ছে তাই বলে গালিগালাজ করে, এমনকি সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাইলে দৌঁড়ে চলে আসি । কারণ হিসেবে উল্লেখ করে আমার বাবা তোর বাবার কাছে টাকা পায় এ গুলো না দিলে শান্তিতে থাকতে পারবে না ।

পূজা রাণী এস এর মা সুইটি রাণী এস বলেন, আমার বাচ্চাকে নিয়ে ভীষণ ভয়ে আছি । হারন সাব সুদের টাকার জন্যে বাচ্চাদের ব্যবহার করছে । এর আগেও হারুন ও তাঁর লোকজন সুদের টাকা আদায়ের নামে দোকানে এসে আমার ছেলেকে মারধর করে । কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হকের কাছে গেলে তিনি জিডি নেন নি ।

গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই । তবে বিজন কুমার এস এর পরিবারের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিলো । আমার কাছ থেকে প্রায় একুশ লাখ টাকা নিয়েছিলো । কিন্তু সেটা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করে তালবাহানা শুরু করে ।

এ দিকে বিজন কুমার এস এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতি মাসে সুদসহ চল্লিশ হাজার করে টাকা পরিশোধ করে আসছি ।

কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, পূজা রাণী এস মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে । আমি গতকাল রাতে বিষয়টি কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হককে জানিয়েছি ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক (পিপিএম-সেবা) বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই । সুইটি রাণী এস এর জিডি না নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি এখনো জিডি নেবো না । একজন টাকা পাবে, সে চাইতেই পারে ।

উল্লেখ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসাধীন পূজা রাণী এস সম্পর্কে বলেন, সে অতিরিক্ত পরিমাণে ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ।