উলিপুরে ভাঙ্গনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৪

রেজাউল ইসলাম।উলিপুরে তিস্তা নদীর পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি এবং অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে যেতে পারে একটি সুইচ গেট ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ, দুই শতাধিক বাড়িঘর ও আবাদি জমি। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন বসতবাড়ি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থার দাবি জানান।সরেজমিনে ভাঙন এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামার হাট ও খামার দামার হাট গ্রামের ভাঙন কবলিতদের নিজস্ব জমি জমা না থাকায় বাড়িঘর স্থানান্তর করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগে থেকেই এই এলাকায় ভাঙন শুরু হলে বজরা ১নং খামার দামার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সুইচ গেট হুমকির মুখে পড়ে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে স্কুল ও সুইচ গেটটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে ৫০/৬০টি বসতবাড়ী, ৫০ মিটার বাঁধের রাস্তা, সবজি ক্ষেত, পাট ক্ষেতে, গাছপালা-পুকুরসহ শতবিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

নদী তীরবর্তী খামার দামার হাট গ্রামের আবুল হোসেন (৫৬) জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায়, নদী ভাঙনে ঠিকানা হারিয়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। আরও দুই বা তিন শতাধিক বসতবাড়ী ও একটি মসজিদ রয়েছে ভাঙনের হুমকিতে। এছাড়াও শত শত পরিবার রয়েছে ভাঙন আতঙ্কে।

বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার (৭০) জানান, আমি ১৫০ একর জমির মালিক। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি ১২ বার। নদীর বুকেই আমার সমস্ত জমিজমা পড়ে আছে। অথচ আমাদের ঠাঁই নেয়ার মতো জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে অন্যের জমি ৮ বছরের জন্য বন্ধক নিয়ে বাড়ি ঘর করে পরিবার পরিজন নিয়ে আছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, সম্প্রতি ভাঙন কবলিত এলাকা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। এখন পর্যন্ত কোন কিছু বলেনি। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।