অতিরিক্ত চাঁদার দাবীতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস চলাল বন্ধ রয়েছে জানা যায় ফরিদগঞ্জ বাসস্যান্ট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফরিদগঞ্জ- রায়পুর-লক্ষীপুর-ফেনী – চট্রগ্রামগামী শাহী, জোনাকী বাস চলাচল গত বৃহস্পতিবার (২৭জুন) সকাল ১১ টা থেকে একটানা গত ৬ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে।

কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দুর্ভোগে ফরিদগঞ্জ -রায়পুর-চট্টগ্রাম রুটের বাস যাত্রীরা।তিনগুণ হারে ৬০ টাকা পরিবর্তে ১৮০ টাকা চাঁদা দাবি , মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নামে অতিরিক্ত চাঁদার দাবীতে বাস মালিকদের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই রুটে দূরপাল্লার অন্য কোন বাস না থাকায় চরমভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাস চলাচল না করায় এবং বাস কাউন্টার গুলো বন্ধ থাকায় যাত্রী বিহীন হয়ে পড়েছে ফরিদগঞ্জ বাসস্টেশন । এতে করে যাত্রীরা সিএনজি যোগে রায়পুর ও চাঁদপুর থেকে দূরপাল্লার বাস ধরতে হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিএনজি,অটোরিকশার ড্রাইভাররা ১০-২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, আগেও কোন চাঁদা ছিলনা শুধু মাত্র পৌরসভার টোল ২০ টাকা আর পার্কিং এর জন্য ৪০ টাকা দেওয়া হতো। হঠাৎ ২৬ জুন বুধবার ১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি আরো ১২০ টাকা চাঁদা দাবি করেন মোট ১৮০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

পরিবহনের বাস চালকরা বলেন, আমরা গাড়ি চালালে টাকা পাই। না চালালে পাই না। ৬ দিন ধরে বসে আছি। পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছি না।চট্টগ্রামগামী যাত্রী মামুন, নুরুন্নাহার, আবুল হাসান, কয়েকজনের সাথে কথা হলে জানান, সকালে ভোরে শাহী বা জোনাকি বাসে করে আমরা চট্টগ্রাম যেতাম। হঠাৎ করে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া আমরা চরম বিপাকে পড়েছি।

এখন আমরা ফরিদগঞ্জ থেকে দুইটি গাড়ি বদল করে রায়পুর যেতে হয়। এতে করে বাড়তি টাকা, সময় ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে আমাদের।শাহী বাসের মালিক রায়হান বলেন ফরিদগঞ্জ বাস গেলে আমাদের তেমন কোন লাভ হয় না, তেমন কোন যাত্রী নেই, আমাদের পক্ষে ১৮০ টাকা চাঁদা দেওয়া সম্ভব না, এবং তিনি আরো জানান ১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় আমাদের বাস না, ফরিদগঞ্জে কোন মালিক সমিতি নেই, শ্রমিক ইউনিয়ন নেই তাহলে আমরা কেন চাঁদা দেবো। চাঁদা দিয়ে বাস চালানো সম্ভব না।

চট্রগ্রাম শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি হাজী কফিলউদ্দিন জানান বাস চলে আমাদের আওতায়, চাঁদপুর বাস যায় না, তাহলে তাদের চাঁদা দিবে কেন? তাই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।১২২০ চাঁদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজির ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন,পরবর্তীতে বার বার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।