ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না পেয়ে এনজিও কতৃক গ্রাহকের ঘরে তালা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪

শাখাওয়াত হোসেন।এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় কাঁচামাল বিক্রি করে ও গৃহিণী দম্পতির ঘরে তালা দিয়েছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। ওই দম্পতি ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ৭ জুলাই রবিবার পযর্ন্ত ঘরে ঢুকতে না পেরে ৪ সন্তান নিয়ে ঘরের দরজার সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।

১২ নং চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া (গ্রামের সওদাগর বাড়ির) এলাকায়
রবিবার ( ৪ জুলাই ) সকালে সোপিরেট এনজিও হাইমচর শাখা কর্তৃপক্ষ ঐ দম্পতির ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।

কাঁচামাল বিক্রি কারক ভোরহান সওদাগর এবং তার স্ত্রী গৃহিনী মাকছুদা বেগম। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া (গ্রামের সওদাগর বাড়ির) এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন।মাকছুদার স্বামী ভোরহান উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি তারা আর মাত্র ৪৮ হাজার টাকা এবং বইতে আমার জমাও আছে টাকা।

বৃষ্টির কারণে কাঁচামালে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লস ঘুনতে হচ্ছে তাই ২ টি কিস্তি দিতে দেরি হওয়ার কারণে সোপিরেট এনজিও এর কর্মকর্তা এসে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়,আজ ৩ দিন যাবৎ ঘরে প্রবেশ করতে পারি না,৪ টি সন্তান নিয়ে অনাহারে জীবনযাপর করতে হচ্ছে।সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার আতিকুর রহমান জানান,মাকসুদা আক্তার ঋনের টাকা দিতে না পারায়,অফিসের নির্দেশে তালা আটকিয়ে দিয়েছি।

সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের এনজিওর শাখা ব্যবস্হাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন
ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। গ্রাহকরা বলছে তালা লাগিয়ে দিতে।

উপজেলার ১২নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান মাষ্টার জানান, এই সংস্থাটি ঋনের টাকা না পেলে আমাকে জানানো উচিত ছিলো,প্রয়োজনে আমি ঋনের টাকা পরিশোধ করে দিতাম, কিন্তু তারা বসতঘরে তালা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করতে পারেনা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল জানান, বিষয়টি আমি এখন শুনেছি , খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।