বিষ মেশানোর অভিযোগ: শিশুসহ অসুস্থ ৮ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২৪ সাজ্জাদ হোসেন। ফরিদপুরের সালথায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীর বাড়ির রান্না করা খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই খাবার খেয়ে একটি কৃষক পরিবারের শিশুসহ অন্তত ৮ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থরা এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া জুগিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষ মেশানো খাবার খেয়ে অসুস্থতরা হলেন- কাঠালবাড়িয়া জুগিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জয়নাল মাতুব্বরের পরিবারের সদস্য ডালিয়া বেগম (৩৫), যুথী আক্তার (১৬), পপি আক্তার (২৫), অনিতা আক্তার (২২), রাজিব হোসেন (২০), হৃদয় হোসেন (১৬), শিশু ফাতেমা আক্তার (৮), মিম আক্তার (৯)। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগী কৃষক জয়নাল মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী সম্রাট মাতুব্বরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলেছে। এরই মধ্যে শনিবার আমাদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করা হয়। ওই দিন রাতে দাওয়াতী মেহমানদের জন্য রান্না করা হয় গরুর গোশত-পিঠা। কিন্তু আমাদের সবার অজান্তে তরকারির মধ্যে বিষ মিশিয়ে দেন সম্রাট। পরে রাত ৮টার দিকে ওই খাবার খান সবাই।তিনি আরো বলেন, খাবার খাওয়ার আধাঘন্টার মধ্যেই পরিবারের সদস্যরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। এতে শিশুসহ অন্তত ৮ জন অসুস্থ হলে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে একটু সুস্থ হওয়ার পর রবিবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ফের অসুস্থ হওয়ায় সোমবার দুপুরে আবারো সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খাবারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগের বিষয় সম্রাট মাতুব্বরের সঙ্গে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সম্রাটের ভাবী রুমা বেগম বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা খাবারে বিষ দিয়েছেন তা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। যারা খাবারে বিষ দেওয়ার কথা বলছেন তারাও তো আমাদের আত্মীয়। কেনই বা সম্রাট খাবারে বিষ দিতে যাবে। ওই রাতে খাবারে কে বিষ দিয়েছেন সেটা তো কেউ দেখেননি।গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কিভাবে কারা খাবারে বিষ মিশিয়েছে নাকি খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়েছে তা আসলে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। মানুষ খাবার খেয়েও তো অসুস্থ হয়।সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কি ঘটেছে তা আমাদের কেউ জানায়নি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: