খুলনার কয়রার কাশিরাবাদ লঞ্চঘাটে পল্টুন না থাকায় জন দূর্ভোগ চরমে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৪

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কাশিরাবাদ লঞ্চঘাটে পল্টুন না থাকায় বছরের পর বছর যাত্রীদের কাদা পানিতে নেমে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। সেবা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও যাত্রীদের নিয়মিত ইজারার টাকা পরিশোধ করে লঞ্চে যাতায়াত করতে হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, কাশিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে নিয়মিত খুলনা থেকে লঞ্চ আসা-যাওয়া করে। যোগাযোগের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় এখানে যাতায়াতের শেষ ভরসা লঞ্চ কিংবা ট্রলার। কিন্তু প্রতিদিন শত শত যাত্রীর লঞ্চে উঠতে হয় প্রচুর কাদা আর হাঁটুসমান পানিতে নেমে। জানা গেছে, উপজেলার কাশিরবাদ লঞ্চঘাট টি চলতি বছর উপজেলা প্রশাসন থেকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা গ্রহন করেন মঠবাড়ি গ্রামের কোহিনুর মালি।

তিনি বলেন, এত টাকা রাজস্ব দিয়ে ঘাট কিনে এখন বিপদে আছি। কাদা পানিতে যাত্রিরা লঞ্চে উঠতে চায়না তার পরেও মালা মাল উঠা নামানো রয়েছে আরও সমস্যা। সুতী বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, শুধু মহারাজপুর ইউনিয়নের লোকজন এই ঘাট দিয়ে চলাচল করেনা পার্শ্ববর্তী কয়রা সদর ইউনিয়নের লোকজনও যাতায়াত করে থাকেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মোল্যা বলেন, কাশিরাবাদ লঞ্চ ঘাটে পল্টুন না থাকায় কখনো হাঁটুসমান আবার কখনো কোমর সমান পানিতে নেমে লঞ্চ কিংবা ট্রলারে উঠতে হয় নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধদের।

তিনি জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট কাশিরাবাদ লঞ্চঘাটে একটি পল্টুনের ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। লঞ্চযাত্রী আঃ রহিম সরদার বলেন, ‘সরকারীভাবে লঞ্চঘাট করা হলেও পল্টুন না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। ইজারা দেওয়ার আগেও হাঁটুসমান পানিতে নেমে আর কাদায় লঞ্চে উঠতে হতো, এখনো একই অবস্থা। দূর্ভোগ রয়েই গেছে।

লঞ্চঘাট নির্মাণ করে তেমন কোনো লাভ হয়নি। তাই একটি পল্টুন হলে যাত্রীরা এ দূর্ভোগ থেকে একটু হলেও রেহায় পেত।কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার লুৎফর রহমান বলেন, এই লঞ্চঘাটের পাশে রয়েছে বন বিভাগের ফরেষ্ট স্টেশন, এ ছাড়া কয়রা সদর খুবই নিকটবর্তী হওয়ায় এখান থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী লঞ্চে যাতায়াত করে থাকেন। পল্টুন না থাকায় তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আধুনিক যুগে জরুরী ভিত্তিতে এই লঞ্চঘাটে একটি পল্টুনের ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।