কেন্দুয়া পল্লী বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় যোগান কম দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২৪ কোহিনূর আলম।নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩,১৪,৪৫০ জন । এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৯০ হাজার । নানা কারণে বিদ্যুৎ অফিসের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ নেই । এক তো প্রচন্ড গরম । গরমে হা-হুতাশে অস্থির শিশু, বৃদ্ধা, যুবক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ । বিশেষ করে এ গরমে বাচ্চাদের বিভিন্ন রোগ বালাই শেষ নেই । অথচ সংযোগ আছে, বিদ্যুৎ নেই , কেন্দুয়া পৌরসভার ২টি লাইনসহ উপজেলায় মোট ১২টি বিদ্যুৎ লাইন থাকলেও বিদ্যৎ এর সুষম বণ্টন নেই, সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা, মিটারে বিল বেশি এমন বিভিন্ন অভিযোগের আঙুল গ্রাহকদের পল্লী বিদ্যুৎ এর কেন্দুয়া জোনাল অফিসের দিকে । রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের পুরানবাড়ির মোঃ আশরাফুল আলম টিটু আক্ষেপ করে বলেন, ২৪ঘন্টায় দু’তিন ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না । অফিসে জানালে কোন সহযোগিতা মিলে না । এর চেয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই ভালো ।কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারো বাড়ির হারুনা বেগম গত মাসের চেয়ে এ মাসে ৩০০টাকা বেশি বিদ্যুৎ বিল এসেছে জানিয়ে বলেন, আমার স্বামী নেই, বাসা বাড়ি কাজ করে খাই । বিল এভাবে বেড়ে গেলে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায় । কেন্দুয়া সরকারি কলেজের জনৈক প্রভাষক গত মাসের বিদ্যুত ব্যবহারের চেয়ে এ মাসে মিটারে বিল অতিরিক্ত এসেছে বলে অভিযোগ করে বলেন , কেন্দুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সাধারণের ভরসা নেই ।নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেন্দুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ মুজিবুর রহমানের সাথে সার্বিক বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান , কেন্দুয়া উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ মেগাওয়াট ও যোগান ৯ মেগাওয়াট । ইচ্ছে করলেই আমরা গ্রাহকের সব চাহিদা পূরণ করতে পারি না । মিটারে ত্রুটিজনিত বিল বেশি আসলে অবশ্যই মিটার পরিবর্তনের সুযোগ আছে । ময়মনসিংহের আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় কেন্দুয়ায় । আমাদের এমপি মহোদয়সহ আমরা সবাই গ্রাহকের বিদ্যুৎ এর চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি । SHARES সারা বাংলা বিষয়: