ফরিদগঞ্জে যানবাহনের পথ রোধ করে হাতির চাঁদাবাজী

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৪

মোঃ শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু।রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত। মাহুতের নির্দেশেই শুঁড় দিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের গতি রোধ ও দোকানীদের কাছে শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে হাতি। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি।

এতে যানবাহন চালক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা মেলে এমন চিত্র। খবর পেয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের আল মদিনা হাসপাতাল এলাকায় যেয়ে দেখা যায় হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাদাবাজীর এমন দৃশ্য।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে টার্গেটের ধরন বুঝে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। সড়কের পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের।কাছিয়াড়া এলাকায় মহাসড়কে জামাল হোসেন নামের এক পথচারীর কাছে হাতি যেয়ে শুঁড় এগিয়ে দিল। ওই পথচারী ১০ টাকা দিতে চাইলে মাহুতের নির্দেশে নেইনি হাতি। পরে ৩০ টাকা দিয়ে পার পেয়েছেন তিনি।

ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা থামিয়ে শুঁড় এগিয়ে দিল হাতি। অটোরিকশা চালক ইব্রাহিম মিয়া ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই অটোরিকশা চালক বলেন, টাকা না দিলে যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় শুঁড় দিয়ে গাড়ি ধাক্কা মারে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুতের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

ফরিদগঞ্জ থানার ডিউটিরত কর্মকর্তা (এএসআই) এরশাদ বলেন, হাতি ব্যবহার করে চাঁদাবাজীর বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ওই মাহুতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ম্যাজিস্ট্রেট এ.আর.এম. জাহিদ হাসান বলেন, হাতি বা বন্যপ্রাণী ব্যবহার করে সড়কে চাঁদাবাজি করা উচিত নয়।এই মাহুতকে সর্তক করেছি হাতি নিয়ে এলাকা ত্যাগ করতে। কাজ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।