গোমস্তাপুরে ব্রিজ, সড়ক,মসজিদ নির্মাণ, জমি দখলসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মান্নান ঠিকাদারের বিরুদ্ধে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৪

মোঃ তুহিন।সামগ্রিকভাবে সুশাসনের ঘাটতি দেখা দিলে কেউ কেউ নিজেকে এতটাই ক্ষমতাবান বোধ করতে শুরু করেন যে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেও দ্বিধা করেন না এমনটাই ঘটেছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের মেসার্স মান্নান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকার মান্নান ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ যখন বিএনপি সরকার ছিল তখন সে ছিল বিএনপি আবার সেই আওয়ামীলীগ সরকার আসলে আওয়ামীলীগ যোগ দিয়ে তার ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্রিজ, সড়ক,মসজিদ নির্মাণ, জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য পরিণত করে । উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম

জানান রাস্তার কাজ শেষ না করেই বিল উঠিয়ে নিয়েছে। একটা ড্রেন ৬৬ লক্ষ টাকার উচ্চতা ৩ ফিট করার কথা থাকলেও দুই ফিট করে এবং বর্তমানে আমাদের ইউনিয়নে রহনপুর ভাযা বাংগাবাড়ি হয়ে ফোয়ারাম ঘাটে ভোলাহাট যাওয়ার মহানন্দা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজের সড়ক জনপথ অধিদপ্তর কতৃক ৬৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার কাজ চলমান সেখানে এই কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের পাথর, রড ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভরাট বালি দিয়ে এই কাজগুলো করছে তারা। এমন কি সয়েল টেষ্ট করতে যে উপকরণগুলো দরকার তা করা হয়নি ।

ব্যাপক দুর্নীতি সহ স্থানীয়দের অনেক জায়গা আছে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে এসময় ফোয়ারাম ঘাটের পাশের ভুক্তভোগী এক মহিলা জানান আমার এখানে ৩ বিঘা জমি ছিল মান্নান ঠিকাদার জোর করে দখল করে নিয়েছি আমাকে একটা টাকাও দেয়নি আমি কিছু বলতে গেলে বলে তোকে মেরে ফেলে মাটিতে পুতে দেব। আমরা এতদিন ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। আনোয়ারুল ইসলাম নামের আর এক ভুক্তভোগী বলেন আমার বাঁশ বাগান থেকে জোরপূর্বক ২৭৫ টি বাঁশ কেটে আমাকে মাত্র ১৩ শত টাকা দেয়। আরেক যুবক জানান এই নদী থেকে ২০ লক্ষ টাকার বালু তুলে

নিয়ে গিয়েছে এবং নদীটাকে দহা বানিয়ে দিয়ে গিয়েছে। ভবানীপুর মসজিদ কমিটির লোকেরা বলেন ৩ লাক ৭৯ হাজার বরাদ্দমসজিদের উন্নয়নের লক্ষ্য অথচ মাত্র ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাজ করে নিম্নমানের সিমেন্ট বালি দিয়ে আমাদের মসজিদের কাজ করা হয় এবং আমাদের মেহেরাব বেধে দেওয়ার কথা থাকলো সে এখন বেঁধে না দিয়ে কাজ শেষ করে চলে যায় এবং আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি মান্নান ঠিকাদারের লোকজন বিল তুলে খেয়ে ফেলেছে।

আরো অনেকে বলেন উপজেলায় তার প্রতিটা কাজেই দুর্নীতি যেকোনো রাস্তার কাজ বছর শেষ না হতেই নষ্ট হয়ে যায়।এবং আওয়ামীলীগ থাকা অবস্থায় আমাদের বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন সব কিছু লুটপাট করে খেয়ে নিয়েছে। তার কোনো অনিয়ম দুর্নীতির কাজের প্রতিবাদ করলে আমাদের তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অত্যাচার করা হতো। এ সময় এক ঠিকাদার জানান মান্নান ঠিকাদার কোন জায়গাতে টেন্ডার জমা দিলে আমরা কোন কাজ পেতাম আওয়ামীলীগের দাপটে সব কাজ তার করে নিত। স্থানীয়রা জোরদাবি জানায় এসব অনিয়ম-দূর্নীতি কাজের তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয় হোক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক । পরের স্থানীয় সাংবাদিকরা আসার পর ওই এলাকার গ্রামবাসী ফোযারাম ব্রিজ এর কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে মান্নান ঠিকাদারে সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ।