সততা আর ন্যায়নিষ্ঠাই কর্মজীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো প্রধান শিক্ষক:আ ক ম আবদুল্লাহ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৪

মামুন রাফী।আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের চালিকাশক্তি শিক্ষক, একজন শিক্ষক একজন ছাত্রের অভিভাবক। শিক্ষক যে শুধু মাত্র পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ করে এমন না। একজন শিক্ষক একজন ছাত্রকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেন। ছাত্রদের মনের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে তুলেন। একটা ছাত্রের জীবনের লক্ষ্য থেকে শুরু করে জীবনের সফলতার প্রত্যেকটা ধাপে শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। আলোকিত সমাজ গঠনের মূল চালিকাশক্তি ও দক্ষ কারিগর তিনি। শিক্ষক মানুষের সুপ্ত প্রতিভা, গুণাবলির বিকাশ, ব্যক্তিত্বের জাগরণ, মেধা-মননে উৎকর্ষতা সাধন করে জীবন আলোকিত করেন।

বাবা-মা শিশুকে জন্ম দেন ও লালন-পালন করেন ঠিকই কিন্তু তাকে সফল ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন শিক্ষক। সমাজে আধুনিকতার সূচনা ঘটান শিক্ষক, কারণ তিনি জ্ঞানে-বুদ্ধিতে ও পরিকল্পনায় থাকেন সবার চেয়ে এগিয়ে। তাই একজন শিক্ষককে সভ্যতার রচয়িতা বলা হয়। আজীবন তিনি সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে পেশাগত জীবনে সকল ধরনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন, তাঁর জীবনে কোন অনিয়মের ছিটেফোঁটা ও লাগতে দেন নি,এমন শিক্ষক ও অভিভাবক তেমন একটা খুঁজে পাওয়া মুসকিল। তিনি কাঙ্খিত গুণাবলীতে গুণান্বিত নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার পূর্ব লক্ষীদিয়া পাটোয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক জনাব আ ক ম আবদুল্লাহ।তিনি দ্বীপ কল্যাণ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন ।

সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে দ্বীপ কল্যাণ সমিতির ৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে, এ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা মিথ্যা অপপ্রচার ও অভিযোগ দেয়।

জানা যায়, দ্বীপ কল্যাণ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যবৃন্দ তাঁর নাম দিয়ে র‍্যালী ও প্রতিবাদ সভা করে ২৮ শে সেপ্টেম্বর যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন জনাব আ ক ম আবদুল্লাহ ও জনাব নুরেজ্জামান । বিগত ৮ ই সেপ্টেম্বর একই বিষয়ে উক্ত কমিটি অফিসার ইনচার্জ হাতিয়া থানা বরাবর আরেকটি আবেদন পেশ করেছিলেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছিলেন।

বিবরণে দেখা যায় উক্ত কমিটির কোষাধাক্ষ জনাব এ,টি এম, মহিউদ্দিন ২২ লক্ষ ৪ হাজার ৬ শত ৮০ টাকা দ্বীপ কল্যাণ সমিতি থেকে পাওনা আছেন, তিনিই সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী এবং আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বিধায় তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মানবিক কারণে এই ৭ লক্ষ টাকা ও তাঁর লভ্যাংশ একটি প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের মাধ্যমে তাকে দেয়ার জন্য ১২ জানুয়ারি ২৩ ইং তারিখের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মিটিং এর সিদ্ধান্তে টাকা দেওয়া হয়। জনাব আ ক ম আবদুল্লাহ ও জনাব নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করা হয়, এটা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট । তাই হাতিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগ ও আবেদনের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে সমাধান করে দিয়েছিলেন।

এই বিষয়ে জনাব আ ক ম আবদুল্লাহ বলেন, কিছু দুষ্কৃতিকারী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও অভিযোগ করেন, যা সম্পূর্ন বানোয়াট ও অবাস্তব।
আমি কর্মজীবনে সব সময় সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি বলেই এমন দিন দেখতে হচ্ছে।