মৌলভীবাজারে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে চা বাগান ব্যবস্থাপকদের নিয়ে এ্যাডভোকেসি সভা ।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৪

এস.এম আবু রায়হান।। এক ডোজ এইচপিভি টিকা দিন জরায়ুমূখ ক্যান্সার রুখে দিন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই প্রথমবারের মতো জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ (এইচপিডি) টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক অ্যাডভোকেসি সভা চা বাগান ব্যবস্থাপকদের নিয়ে পাঁচতারকা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ইউনিসেফ সিলেট বিভাগীয় অফিসের উদ্যোগে এ এ্যাডভোকেসি সভা আয়োজন করা হয়।সোমবার ২১-অক্টোবর গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ হোটেলের পানশালায় দিনব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ্যাডভোকেসি সভায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার সব-কটি চা বাগানের ব্যবস্থাপকগণ উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন সিলেট শাখার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়  স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফ হেলথ অফিসার ডা. মীর্জা এলাহি।অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ অফিসের এইচপিডি টিকা ক্যাম্পেইন কনসালটেন্ট শেখ আলী হায়দার আজম, ইউনিসেফ সিলেট অফিসের চিফ ফিল্ড অফিসার কাজী দিল আফরোজ ইসলাম, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের লেবার স্বাস্থ্য ও ওয়েলফেয়ার উপ-কমিটির আহবায়ক ও ফিনলে টি কম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মৌলভীবাজার শাখার উপপরিচালক মো: ফারুক আলম প্রমুখ।জরায়ুমূখ ক্যান্সার প্রতিরোধ এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর এই দিবসটিতে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছরের বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর। এ লক্ষ্যে ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ১৮দিন ব্যাপী জাতীয় এ দিবসটির কার্যক্রম চলবে।উল্লেখ্য যে, জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে, যার নাম প্যাপিলোমা ভাইরাস। সাধারণত এই ভাইরাসটি ছড়ায় ওই ভাইরাস আছে এমন কারও সাথে যৌন মিলনের ফলে। যৌন মিলনের সময় পুরুষদের কাছ থেকে নারীদের দেহে এই ভাইরাসটি ঢুকে যায়। তবে ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার হয় না। ক্যানসার হতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে।২০২০ সালের ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি অব রিসার্স অন ক্যানসার-এর (আইএআরসি) এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর  বিশ্বে  ৬ লক্ষাধিক নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্তহন এবং যার মধ্যে তিন লক্ষ মৃত্যুবরণ করেন সার্ভিকাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসারে। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এক লক্ষ নারীদের মধ্যে ১১জন জরায়ুমূখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর প্রায় ৪,৯৭১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেন।