নওগাঁর মান্দায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আটক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৪ মোঃ আবু সাঈদ।। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার অন্তর্গত কুরিয়া পাড়া গ্রামে। বুধবার আনুমানিক দুপুর দুইটার সময় কুরিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম এনামুল হক তিনি কুরিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জানা যায়, এর আগেও তার বিরুদ্ধে নারীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ রয়েছে। আজ বুধবার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে গেলে। ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবা বলেন, আজ সকাল দশটায় প্রতিদিনের মতো আমার মেয়ে স্কুলে গিয়েছে। এ সময় কৌশলে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ছাদে নিয়ে যায় এই নোরো পিসাচ শিক্ষক। এরপর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং জড়িয়ে ধরে চুমু খায় অভিযুক্ত এই প্রধান শিক্ষক। এ সময় আমার মেয়ে ভয় পেয়ে চিৎকার করে সেখান থেকে পালিয়ে এলাকাবাসীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে এবং কান্নাকাটি করতে করতে বাড়ি ফিরে আসে। এতে করে এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এলাকাবাসীরা সবাই একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত এই শিক্ষককে আটকে রাখে এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে এলাকাবাসীর অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ আটক করে মান্দা থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনসুর রহমান অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের বিষয়টি দৈনিক দেশ সেবাকে নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি দৈনিক দেশ সেবাকে আরো বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি চলমান রয়েছে এবং আইন অনুযায়ী এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দৈনিক দেশ সেবাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: