পঞ্চগড়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কৃষক লীগ নেত্রী সাকি’র সরকারি টাকা লুট

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।।পঞ্চগড়ে অস্তিত্বহীন নিজের একই প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদের বার বার বরাদ্দ,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অনুদানসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে-পৌর কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আকতারুন নাহার সাকীর বিরুদ্ধে।এর আগেও তার বিরুদ্ধে প্রকল্প বরাদ্দ দিয়ে ৫০ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ হলেও, ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন।যদিও অভিযুক্ত এই নারী নেত্রী বলেছেন, বরাদ্দের টাকা দিয়ে কাজ করেছি।অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের বিষয়ে জানান, প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পের যে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে,সেটা দিয়ে আসবাবপত্র ক্রয় করি।স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান,আওয়ামীলীগের এই নেত্রী এক সময়ে বিএনপি সমর্থিত ছিলেন।২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর ভোল পাল্টে হলেন আ,লীগার।একে একে হলেন-জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আ,লীগের সদস্য,পৌর কৃষক লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যও।দলীয় প্রভাব খাটিয়ে করে বসলেন চারটি প্রতিষ্ঠান।সেখানে বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছেন, প্রায় ২০ লাখ টাকারও বেশী।দূর্নীতি দমনসহ প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।জানা যায়,জেলা পরিষদ থেকে অর্থ বছর ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত আ,লীগের এই নেত্রী তার নিজের প্রতিষ্ঠান মারেয়া মহিলা সমিতির নামে তিন দফায় সাড়ে ছয় লাখ, পরস্পর মহিলা সমিতির নামে দুই দফায় চার লাখ, পরস্পর মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নামে দুই বারে পাঁচ লাখ, পরস্পর গ্রন্থাগার নামে দুই লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়েছেন। পরস্পর মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও পরস্পর গ্রন্থাগার নামে পঞ্চগড়ে কোন প্রতিষ্ঠান নাই।ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে অনুদান নিয়েছে পরস্পর মহিলা সমিতির নামে দুই দফায় ৯০ হাজার, মারেয়া সমিতির নামে ৪০ হাজার টাকা।সরজমিনে জানা যায় ,বোদা উপজেলার মারেয়া এলাকায় শ্রী মনি ভূষনের কাছে ছয় শতক জমি ক্রয় করেন,পঞ্চগড় শহরের ডোকরোপাড়া এলাকার আকতারুন নাহার সাকী।তার পর একটি ঘর তুলে নাম দেয় মারেয়া মহিলা উন্নয়ন সমিতি।এলাকাবাশী বলেন,ঘরটি সবসময় বন্ধ থাকে,বছরে দুই একবার খুলতে দেখা যায়।পরস্পর মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও পরস্পর গ্রন্থাগারটি কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরস্পর মহিলা সমিতি ওই নারী নেত্রীর বাড়িতে।অপসারিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ জানান, প্রকল্পের অর্ধেক টাকা নিয়ে কাজ করার পর, বাকী বিল তোলার নিয়ম।আমি পরিষদে আসার পর ওই নামের স্ক্রীমগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।যা বরাদ্দ দিয়েছে আগের চেয়ারম্যান।