খালি চেক নিয়ে বড় অংকের টাকা বসিয়ে হয়রানির অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২৪ আশিকুর রহমান চৌধুরী পনি।।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলে বাবুল মিয়ার নামে এক যুবকের কাছ থেকে খালি চেক নিয়ে বড় অংকের টাকা বসিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশ করেও কোন সুরহা না হওয়ায় আদালত থেকে বাবুলের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তার পর এঘটনা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ফেদিয়ারকান্দি গ্রামের শহীদুল্লার ছেলে। আর ভুক্তভোগী নূর মোহাম্মদের চাচাতো ভাই এবং একই গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাবুল মিয়া নূর মোহাম্মদ চাচাতো ভাই। বাবুল চাতলপাড় বাজারে ব্যবসা করেন। প্রায় সময়ই নূর মোহাম্মদ বাবুলের কাছ থেকে টাকা ধার নিতো। এক পর্যায়ে ধারের দেনা প্রায় দুই লাখ হওয়ায় বাবুল টাকা ফিরত পেতে চাপ দেয়। তখন নূর মোহাম্মদ বাবুলকে বলে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তোমার টাকা শোধ করতে হবে। তাই দুটি খালি চেক দাও। তখন সরল বিশ্বাসে নূরকে দুটি খালি চেক দেয় বাবুল। এর কিছুদিন পর নাসিরনগর সোনালী ব্যাংক চাতালপাড় শাখায় চেক দুটি ডিজঅনার করা হয়। সেই চেক দিয়ে বাবুলের বিরুদ্ধে আদালত থেকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। পরে এসব বিষয় নিয়ে গ্রামে পাঁচবার গ্রাম্য সালিশ হয়। কিন্তু নূর মোহাম্মদের পরিবার বিচার না মানায় ভেস্তে যায়।এমনই একজন গ্রাম্য সালিশকারক মো. আবু তালিব ভূইয়া বলেন, দুই চেকের দরবার নিয়া গ্রামে পাঁচবার সালিশ করছি। কিন্তু একবারও নূর মোহাম্মদের পরিবার আসেনি। আর চেকের বিষয়ে তিনি বলেন, খালি চেক নিয়ে বাবুল মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। নূর মোহাম্মদের বাড়িতে মিথ্যা হামলা ও লুটপাটের অভিযোগও করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা আলেহা বেগম বলেন, নূর মোহাম্মদের পরিবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাবুলকে ফাঁসানোর জন্য চেকের নাটক সাজাইছে। খালি চেক নিয়ে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নূর মোহাম্মদের বাবা শহীদুল্লাহ ভূইয়া বলেন, ব্যবসার কথা বলে আমার ছেলের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা ধর নেয় বাবুল। কিন্তু আমার ছেলের টাকা ফেরত না দিয়ে রাতের আধারে আমার বাড়িতে হামলা করে বাবুলের লোকজন।চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি চেক নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিন্তু কোন পক্ষই আমদেরে কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: