সাতক্ষীরা জেলার সাবজয়ী তিন খেলোয়াড়ের সংবর্ধনা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪ মোঃমাসুম বিল্লাহ।।টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন নারী ফুটবলাররা। ২০২২ সালে নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে রচিত হয়েছিল এক নতুন গল্প। একই মাটিতে, ২০২৪ সালে, সেই গল্পের নতুন অধ্যায় লেখে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। এবারের সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন সাতক্ষীরার তিন কৃতি সন্তান, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তি।সাফ জয়ের পর প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরায় পা রাখলেন তারা। আর নিজ জেলাতে পৌঁছেই পেলেন গণ সংবর্ধনা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই গণসংবর্ধনা দেওয়া হয় বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন এই অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় নিজ জেলায় শুরু হয়েছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, শুধু ফুটবলে নয়, বিভিন্ন খেলায় সাতক্ষীরার ছেলেমেয়েরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বড় ধরনের কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়নি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্মের সাবিনা, মাছুরা-প্রান্তিদের উঠিয়ে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই আমাদের মতো সাতক্ষীরা থেকে আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসুক, পরবর্তীতে তাদের যেন আমরা সম্মানিত করতে পারি। আমি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাবো, ফুটবলের পাশাপাশি যেন অন্যান্য খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করা হয়।তিনি আরও বলেন, আমাদের সাফল্যের পেছনে পুরো জাতির দোয়া এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন। আপনাদের এই ভালোবাসা আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখতে সাহস যোগায়।সেখানে মাছুরা পারভীন এবং আফঈদা খন্দকার প্রান্তি তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার প্রতিশ্রুতি দেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, এই তিন মেয়ে শুধু সাতক্ষীরার নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাদের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। এ সময় সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।অনুষ্ঠান শেষে সাতক্ষীরার এই তিন গর্বিত কন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট এবং সংবর্ধনা স্মারক দেওয়া হয়। এই আয়োজনে ফুটবলপ্রেমীদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন বয়সী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সাতক্ষীরা যেন নতুন করে সাফল্যের মানচিত্রে নিজেদের অবস্থান জানান দিল। এই তিন কৃতি ফুটবলারের সাফল্য সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: