শেরপুরে সূর্যমুখী বাগানে সেলফি তুলতে ভীড় জমাচ্ছে ফুলপ্রেমিরা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
মোঃ মুরাদ মিয়া।। শেরপুরে ৫০ টাকার টিকেট সূর্যমুখী বাগানে ভীর করছে ফুলপ্রেমি মানুষ। এনিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন এক দৃশ্যের। শেরপুর জেলা শহরের শেরী ব্রিজ সংলগ্ন মৃগী নদীর অববাহিকায় দিগন্তজোড়া বিস্তৃত সূর্যমুখী ফুলের বাগান। বাগানটি এক নজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখাকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকা। নয় উদ্যোক্তা মিলে সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। তাদের এই বাগানটি দেখতে এবং সেলফি তুলতে শেরপুর জেলাসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ভিড় করছেন ফুলপ্রেমী দর্শনার্থী। ফুটে আছে হাজার হাজার হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। যা প্রকৃতি প্রেমীদের মন মুহূর্তেই আন্দোলিত করে তোলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগানের সৌন্দর্যমন্ডিত দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে এর আকর্ষণ আরো বহুগুনে বেড়ে যায়। প্রতিদিন বাগানটি এক নজর দেখতে বহুসংখ্যক প্রকৃতি প্রেমী ছুটে আসছেন। ইতোমধ্যেই শেরপুরের আশ-পাশের ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের পছন্দের শীর্ষস্থানে পরিণত হয়েছে এই সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত। প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নামে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এখানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছে মালিক পক্ষ। এতে করে বাগান মালিকদের প্রতিদিন বেশ ভালোই আয় হয় বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক হায়দার আলী। মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশে একটু সময় কাটানো ও সূর্যমুখী ফুলের হাসির ঝিলিক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক জনতা এসে ভিড় করছেন। দর্শনার্থীদের অবাধ চলাফেরায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সিকিউরিটি ম্যান নিয়োগও দেওয়া হয়েছে। শেরপুরের মাটি সূর্যমুখী চাষে বেশ উপযোগী। আগের বছর সূর্যমুখী চাষ কম হলেও এবছর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় এটি একটি কৃষি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে। এব্যাপারে লিজা নামে এক তরুণী বলেন, আমরা সূর্যমুখী ফুল ইউটিউবে ও ছবিতে দেখেছি। বাস্তবে আগে দেখিনাই। এখন এতবড় বাগানে সূর্যমুখী ফুল দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেছে। খুব ভালো লাগছে। বাগান মালিক হায়দার আলী বলেন, আমরা সাড়ে চার একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। আমরা আশা করছি লাভবান হতে পারবো। এখানে অনেক ফুল ফুটেছে, প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসছে। আমরা বাগান, ফুল আর গাছ রক্ষা করতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই কয়েকজন লোক রেখে দিয়েছি। তাদের বেতন দিতে ও ক্ষতি পোষাতে ৩০/৫০ টাকা করে টিকেটের ব্যবস্থা করেছি। শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসলিমা খানম নিলু বলেন, সূর্যমুখী তেল খুবই উপকারী, দামও বেশি। কৃষকরা লাভবানও হবে। আমাদের কৃষি ফসল সূর্যমুখী দেখতে মানুষ ভীর করছে দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে। সূর্যমূখীর সৌন্দর্য ও লাভ আকৃষ্ট করছে অন্য কৃষকদেরও। আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছি।