ঘুষ গ্রহণের ১৮ দিন পার হলেও অভিযোগের তদন্তে যায়নি পুলিশ।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় পুলিশ ঘুষ গ্রহণ করার ১৮ দিন পার হলেও তদন্তে যায় নাই পুলিশ।একাধিকবার থানায় গিয়ে সহযোগিতা চাইলেও সহযোগিতা পায়নি থানা পুলিশের। সিরাজদিখান থানার মালখানগর ইউনিয়নের কাজীরবাগ গ্রামের মোঃসবুজ প্রাইভেটকার চুরির মামলা করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিয়ে অভিযোগের ১৮ দিন পার হলেও তদন্তে যায় নাই বলে অভিযোগ করে সবুজ।  ভুক্তভোগী সবুজের দাবি থানায় গিয়ে ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ অভিযোগ পত্র লিখে দিয়ে কনষ্টেবল জেসমিনকে ( কম্পিউটার অপারেটর) ৩০০ টাকা দেই। থানায় গিয়ে আমার গাড়ির তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে খোঁজ নিচ্ছি বলে যানায়। পুলিশের সঠিক সহযোগিতা পাচ্ছিনা কত মানুষের কাছে গেলাম কত মানুষের হাতে পায়ে ধরলাম। আমাদের বাংলাদেশ জীবনের ঠিক হবে না মানুষও হবে না । এখন তো সবাই বলে থানায় গেলে দশ টাকাও লাগবেনা বরংচ সহযোগিতা করবে। বরং সহযোগিতা কই। এখন রোটে ঘাটে থাকি এখন যদি থানা ধরি তাহলে রোটে ঘাটে থাকাটা মুশকিল হয়ে যায়। এসব জিনিস ওই ভাবেই চলতে হয় আমাদের।কাজীরবাগ গ্রামের সবুজের সহযোগী আওলাদ হোসেনের দাবি তিনি আমাদের প্রাইভেটকার চুরি হয় সাড়ে তিনটা থেকে চারটার ভিতরে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দশটার সময় সিরাজদিখান থানায় যাই অফিসার আরেক জনের কাছে পাঠায় উনি একজন মহিলা কনস্টেবল উনি আমাদের জিডির কাগজ ফিলাপ করে দেয় । থানা থেকে নাকি জিডির কাগজ দেয়া যায় না নিয়ম নাই এটা বলে আমাদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। আরেকজন মহিলা কনস্টেবল তার অঙ্গভঙ্গিতে বুঝিয়েছে বেশ কিছু টাকার কথা মহিলায় বলেই ফেলছে দিয়ে যান। আমরা ৫০০ টাকা দিয়েছি ৫০০ টাকায় তিনি সন্তুষ্ট না। অফিসার সাচ্চুর নাম্বার আমাদেরকে দিয়ে দেয়। চলে আসি তবে আমাদেরকে যতটুকু মূল্যায়ন করার কথা ছিল এই পরিমাণ আমাদেরকে মূল্যায়ন করে নাই আমাদেরকে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখেছে তাদের যে ব্যক্তিগত কাজ তারা সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এটা তীব্র নিন্দা জানাই এবং এটার একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার। সাচ্চু সাথে কথা হলে বলে গাড়ি এখানে রাখছেন কেন আমি তাকে জানাই গাড়ি সবসময় এখানে থাকে ২৫ বছরে গাড়ির কোনো ক্ষতি হয় নাই। গাড়ি কে নিতে পারে আমরা তো তার জানিনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরাজদিখান থানায় কর্মরত একজন কনস্টেবল জানায় এসআই রোজিনা ইসলামের ব্যবহার খুব খারাপ আমাদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। এ অভিযোগের বিষয়ে অভিযোক্ত কনষ্টেবল জেসমিনের কাছে জানতে চাইলে জেসমিন বলে কে কার থেকে টাকা নেয়। আপনি কোন যায়গায় ফোন দিছেন। কে বলছে আমি এমন কিছু লিখি না। উনার কাছে কি কেউ টাকা চাইছে তাকে জিজ্ঞেস করেন অকে জিজ্ঞেস করেন উনাকে জিজ্ঞেস করেন টাকা কে চাইছে? আমি লোক চিনি কিসের টাকা নিসে? এখানে বাহিরে লেখায় আমি তো আমার অফিসের কাজ করি। আমি এখানে নতুন আসছি। আমি লেখার সুযোগ পাই না। আগে ৩ জন কাজ করছে । এখন আমি একা কাজ করি । এটা আমি আমার অফিসের কাজ করে সময়ই পাইনা আমি এগুলোর লেখবো কখন।  ঘোষ গ্রহণ অভিযোগে অভিযুক্ত আরেক এস আই রুজিনা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কে কবে আমার তো ভাই মনে পড়ছে না । হয়তো উনি লেখার জন্য দিয়ে গেছে। আমার কাছে তো দেয়ার কথা না ভাই। থানায় অনেক সেবা প্রার্থী লোক থাকে লেখার মত লোক থাকে না । অনেক সময় আমরা বলি অভিযোগ লিখে এনে আমাদের দেন। আপনাদের অভিযোগ আমাদেরকে লিখে এনে দেন। তারপরে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওনারা বলে থানায় কারো মাধ্যমে লেখাতে গেলে তখন দেরি হয়। হয়তো আপনাকে কেউ ভুল ইনফরমেশন দিয়েছে এরকম হওয়ার কথা না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সাচ্চুর কাছে জানতে চাইলে এরকম একটা ঘটনা আমি শুনেছিলাম কিন্তু ওই লোকটাকে তো আমি পেলাম না ভাই। লোকটা আমার কাছে পাঠায় দিয়েন ভাই। একটা প্রাইভেটকার রাখছিল প্রাইভেটকার টা পায় নাই এ ধরনের একটা ছিল শুনছিলাম আর কি কাগজটা আমার কাছে আছে কিনা তা আমি বলতে পারব না লোকটাকে আমার কাছে পাঠায় দিয়েন আমি দেখবো নে। সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন,অভিযোগের সাথে সাথে তদন্ত শুরু হয়ে যায়। চুরির ঘটনা আমার নলেজে নাই । থানায় আসতে বইলেন । আপনার অবস্থান থেকে আপনি বলবেন আমার অবস্থান থেকে আমি বলব আমরা যে কি কাজ নিয়ে থাকি আপনারা যদি বুঝতেন তাহলে এত কথা বলতেন না আমরা দুর্গার মত দশ হাত নিয়ে কাজ করতে পারি না আমাদের মধ্যে যতটুকু ইয়ে আছে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি বুঝছেন । ঐ লোককে থানায় পাঠান দেখি সমস্যা দেখি। পুলিশের ঘুষের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা জানায় এই বিষয়টা আমার জানা নেই। যদি এরকম কিছু হয় আমাদের তো সাথে সাথে থানায় কেউ কমপ্লেন করে না ।