কয়রায় এক যুগ পর স্বামী হত্যার বিচারের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।। খুলনার কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে নিহত জাহিদুল ইসলামের হত্যার বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্ত্রী ছবিরন নেছা ও তার পরিবারের সদস্যরা। নিহত জাহিদুল ইসলাম কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের মৃত জালাল গাজীর পুত্র। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছবিরন নেছা বলেন ,আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম একজন দিনমজুর। শৈশব থেকেই তিনি পিতার সাথে দিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বিগত ২০১৩ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কাদের মোল্যার রায়কে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কয়রা সদরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয় । তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ তমিজউদ্দিন ও উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রফেসর সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে সমাবেশ শেষ করে জালালের মোড়ে আসা মাত্রই পূর্ব পরিপকল্পনা অনুযায়ী তৎকালিন আওয়ামীগীগের প্রভাবশালী নেতা সোহরাব আলীর সানার নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা চর্তুমুখী হামলা চালায়। তাদের এলোপাথাড়ি মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণ ও হাতবোমা বিস্ফোরণে আমার স্বামী সহ অনেকেই আহত হন। আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম গায়ে, হাত ও পায়ের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার স্বামী সহ আহত ব্যক্তিদের কোন সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করতে দেয়নি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাড়ি আটকিয়ে আবারও হামলা করে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে বিচারের দাবীতে দ্বারে-দ্বারে ঘুরলেও স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসরদের ভয়ে কেউই আমাদের সহযোগীতা করতে রাজি হয়নি। আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করলে বিচারের দাবীতে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। শুধু তাই নয় বিগত দিনে আওয়ামীলীগের লোকজনদের অত্যাচারে আমার পিতা ও শশুর বাড়ীর লোকজন ভিটাবাড়ি ছাড়া হয়ে যায়। সময়ের পরিবর্তন হয়েছে তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। স্বৈরাচার সরকার ও তার দোসরদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবী জানাই। সংবাদ সম্মেলনে নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ছবিরন নেসা, মাতা মজিদা খাতুন, মেয়ে, ভাই ও বোন উপস্থিত ছিলেন। SHARES সারা বাংলা বিষয়: