কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পাট আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫ আল-মামুন খান ।। কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। শস্যভান্ডার খ্যাত তাড়াইল উপজেলায় এ বছরের পাট মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টির অভাবে পাট চাষ কম হয়েছে। সেই সঙ্গে পাটের মানও ভালো হয়নি। আর চাষিরা বলছেন, পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় গুণগত মানও নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তাড়াইল উপজেলায় ৮১৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ৭০৪ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা পাট জাগ দিতে ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাট নিয়ে কৃষকের নানা ব্যস্ততা থাকলেও মুখে হাসি নেই। তারা বলছেন, পানির অভাবে পাটের মান খারাপ হয়েছে। আবার জাগ দেয়াতেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পাট ব্যবসায়ী আঃ রউফ বলেন, মান ও রঙের ওপর নির্ভর করে সবচেয়ে ভালোমানের পাট মনপ্রতি তিন হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারিমানের পাট দুই হাজার ৬০০ টাকা থেকে তিন হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আঁশ মান সম্মত না হওয়ায় সোনালী আঁশের কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার পাট চাষীরা বলেন, এ বছর পানি কম থাকায় আমাদের লেবার খরচ বেশি হয়েছে। আমাদের এখন লাভ নেই। আমরা বেশি লোকসানে রয়েছি।তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায় দৈনিক জনবাণী প্রতিনিধিকে বলেন, পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না চাষীরা। এতে পাটের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে। উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়ে গেছে। ফলে লাভের অঙ্কও কমেছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: