কেন্দুয়ায় ভাঙচুর, লুটপাট ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৫ কোহিনূর আলম ।। নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জমি সংক্রান্ত জেরে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা শেষে আবারো অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ ওঠেছে । জানা গেছে , জমি সংক্রান্ত জেরে দীর্ঘদিনের সমস্যা বিরাজমান ছিলো ১৪নং মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর গ্রামের সম্পাদূর্গা পাড়া এলাকায় । এ নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিসি হলেও কোন সমাধান হয় নি । সর্বশেষ ২১জুন দু’পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হোন । মো. কালা মিয়াও আহত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরেও আসেন । পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর গত ৯ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন তিনি । এরপর পর্যায়ক্রমে গত ১০ জুলাই ভোরে ও ১২ জুলাই রাতে প্রতিপক্ষের বসত ঘর, বৈঠক ঘর, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , মো. আলী উসমান (৬৫), ফজলুল হক (৪০), নাজিমুল হক বাচ্চু মিয়া (৫০), আতাউর রহমান (৭০), মিরাশ উদ্দিন (৬০), আসাদুজ্জামান (৫০) ও সানাউল্লাহ (৩০)সহ অনেকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের চিহ্ন । বাড়ির ত্রি সীমানায় নেই পরিবারের কোন সদস্য । বিভিন্ন ভয় ও আতঙ্কে কাটাচ্ছেন ফেরারি জীবন । কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সাথে । তারা বলেন, কালা মিয়া মারা যাওয়ার পর তাদের পক্ষের লোকজন বিশেষ করে পোলাপানেরাই এ সব ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে । ভুক্তভোগী নাজিমুল হক বাচ্চু ও আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা বলেন, গত ২১ জুন জমি নিয়ে মারামারিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন লোক আহত হয় । এর মধ্যে প্রতিপক্ষের কালা মিয়াও আহত হোন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থও হয়ে ওঠেন । কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার হাসপাতালে ভর্তি হোন ও মারা যান । এরপর থেকেই আমাদের বাড়ি – ঘরে শুরু হয় নারকীয় ভাঙচুর ও লুটপাট । মুখলেছুর রহমান ওরফে মজলিস মিয়া (৫০), শাহ আলম (৩৫), কাইয়ুম (২৮), মনির (২৫), লতিফ (৫৫), হাফিজুর (৩৮)সহ অনেকে এই ভাঙচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত । তারা আরো বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের পক্ষের প্রায় কোটি টাকার উপরে লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়েছে । বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন । মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. কাইয়ুম মিয়া (২৮) বলেন, তাড়াইল থানাধীন সনাটি গ্রামের আমার খালাত ভাইদের জায়গায় নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে ঝামেলা ছিলো অনেক দিন যাবত । আমার বাবা যে দিন আহত হয়, সেই দিন ঢাকা থেকে বাড়ি পৌঁছা মাত্রই অতর্কিত হামলা করে আহত করে ও পরে বাবা মারা যায় । তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের বাড়ি – ঘরে আমরা কেউ আক্রমণ বা লুটপাট করি নি । তারা নিজেরাই নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে । তাছাড়া দুপক্ষের মধ্যে মামলাও চলমান । এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । SHARES সারা বাংলা বিষয়: